ব্রাভো! একটা চ্যাম্পিয়ন টিমই এ রকম জিততে পারে।
শেন ওয়াটসনের ৬১ বলে ১০১ রানের ইনিংসটা দেখে মনে হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের ১৮৫-৪ তাড়া করাটা ঘরের মাঠে ধোনিদের কাজ কঠিন হবে। এত দিন ট্রেলার দেখছিলাম, সোমবার আইপিএল সিক্সের প্রথম সেঞ্চুরি করে গোটা ফিল্মটা দেখিয়ে দিল ছেলেটা। গেইলকেও চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাখল। কিন্তু প্রথম হাফ ওয়াটসনের হলে দ্বিতীয় পর্বটা নিঃসন্দেহে মাইক হাসির। রাহুল দ্রাবিড় অসাধারণ থ্রোয়ে রান আউট না করলে হাসি অনেক আগেই ম্যাচটা বার করে নিয়ে যেত।
রবিবার কিংস ইলেভেনের দুই সেট ব্যাটসম্যান মনদীপ আর মিলার ১৮৬ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতিয়েছিল। চেন্নাই শুরুটা দারুণ করেছিল। কিন্তু হাসি ফিরে যাওয়ার পর কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ১৯ ওভারে ফকনার ধোনিকে তুলে নিয়ে ম্যাচটা রাজস্থানের দিকে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ওয়াটসনের বল করা শেষ ওভারে ব্র্যাভো ওই এগারোটা রান তুলে দেয়। এই চেন্নাই দলটায় সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার প্লেয়ার আছে। বড় রান তাড়া করতে নেমে হাসি (৫১ বলে ৮৮) গিয়ার বদলে ব্যাট করল। রায়না হাফসেঞ্চুরি করল। ইডেনের নায়ক রবীন্দ্র জাডেজা এ দিন শূন্য করলেও চেন্নাইয়ের জিততে সমস্যা হয়নি। এ বার ফিনিশার ব্র্যাভো। এক বল বাকি থাকতেই ১৮৬-৫ তুলে দিল চেন্নাই। |
ওয়াটসনের খুনে ইনিংসটা কিন্তু চোখে লেগে থাকবে। চেন্নাইয়ের চারটে পেসার প্লাস অশ্বিন, জাডেজার স্পিন জুটির অ্যাটাকও ভোঁতা করে দিল ও। অ্যালবি মর্কেল ফিট ছিল না বলে চার বিদেশির স্লটে ছ’ফুট সাত ইঞ্চির জেসন হোল্ডারকে নামিয়েও কাজ হল না। আসলে গেইল-ওয়াটসনরা যে দিন ফর্মে থাকে, কোনও স্ট্র্যাটেজিই কাজে লাগে না। অনেকে বলবেন অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়ার জন্যই হয়তো চাপমুক্ত হয়ে এমন একটা ইনিংস খেলতে পারল ওয়াটসন। তবে মনে হয় সেটাই একমাত্র কারণ নয়। আসলে ভারত সফরে এসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সময়টা ভাল যায়নি ওয়াটসনের। অফ ফর্ম ছিল। তার উপর বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল। আইপিএলটা ওর কাছে আবার নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ। বাড়তি তাগিদ তো একটা থাকবেই।
|