‘দেশের হয়ে খেলতে চলে যাওয়ার আগে ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে এ বার সুযোগ দিন!’ ‘ইকবাল আবদুল্লা-কে কি একটাও ম্যাচ খেলাবেন না? গত বছর এত ভাল বল করল ছেলেটা!’ ‘লক্ষ্মীর জায়গায় আপনি বরং বিসলাকেই প্রথম এগারোয় রাখুন।’
না, নাইট রাইডার্স টিম মিটিংয়ের গোপন টেপ নয়। উপরোক্ত মন্তব্যগুলো নাইট-ভক্তদের করা টুইট। টুইটগুলোর লক্ষ্যবস্তু যিনি, তাঁর গোটা দিন অবশ্য কাটল ক্রিকেট থেকে কয়েকশো মাইল দূরে। সোমবার সকালে যাঁর টুইট দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তিনি এক জন ক্রিকেটার। ‘সবাইকে সুপ্রভাত। আশা করি সবার দিনটা দারুণ কাটবে। রাইজ অ্যান্ড শাইন! ইওর নেশন নিড্স ইউ। কাম অন!’ তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর!
শুধু গম্ভীর নন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে গোটা নাইট শিবির পড়ে থাকল গল্ফ কোর্সে। পোশাকি নাম টিম রিবিল্ডিং সেশন। সহজ করে বললে, হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার অভিনব টোটকা। ক্রিকেটের বাইশ গজ থেকে সরিয়ে নিয়ে টিমকে তাতানোর চেষ্টা। যার মাস্টারমাইন্ড গম্ভীর নন, নাইট কোচ ট্রেভর বেলিস। |
অস্ট্রেলীয় কোচের নেতৃত্বে তাই এ দিন পুরোদমে চলল গল্ফ থেরাপি। দুপুর-দুপুর দক্ষিণ কলকাতার গল্ফ কোর্সে ঢুকে পড়লেন নাইটরা। যেখানে মিডিয়ার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। ক্যাডি না থাকায় পুরোদস্তুর গল্ফ খেলা যায়নি তো কী, গল্ফ ক্লাব নিয়েই হাল্কা চিপ আর পাট করলেন মর্গ্যান, লি-রা।
নাইটদের মোট পাঁচটা দলে ভাগ করে দেওয়া হওয়ার পর চলল ছোটখাটো একটা টুর্নামেন্টও। প্রতিটা টিমের জন্য ছিলেন এক জন করে ক্যাপ্টেন। জয়ী অধিনায়কের নাম শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শহরে থাকলে যাঁকে নিয়মিত দেখা যায় গল্ফ কোর্সে, এ দিন ‘ট্রফি’ নিয়ে গেল সেই জাক কালিসের টিম।
এত কিছু তো হল, কিন্তু প্লে-অফের রাস্তা থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা কাটিয়ে ওঠা গেল কি? মুম্বই ম্যাচের আগে টিম স্পিরিট ফিরল কি? রাতের দিকে এক নাইট বলছিলেন, “জানি, প্লে-অফে যাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু হাল ছাড়ছি না। আজকের দিনটা বেশ ভাল কাটল। ক্রিকেট নিয়ে একটা দিন চিন্তা না করে খোলা মনে থাকা, মন্দ কী?” বেলিসও তো বলছেন, “মুম্বই ভাল টিম। কিন্তু কে ভাল, কে খারাপ সে সব বাছবিচার করার আর কোনও উপায় নেই আমাদের। যা অবস্থা, প্রায় সব ম্যাচই জিততে হবে।”
মঙ্গলবার থেকে আবার ‘ব্যাক টু ক্রিকেট’। শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখার লড়াই। সচিন-পন্টিংদের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সম্মুখসমরের প্রস্তুতি। |