টুকরো খবর |
মদনের সূত্রে পিয়ালি সারদায় নিজস্ব সংবাদদাতা |
সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না বলে বারে বারেই দাবি করেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। কিন্তু মহাকরণ সূত্রের খবর, তাঁর সুপারিশেই বর্ধমানের আইনজীবী পিয়ালি মুখোপাধ্যায়কে সারদা গোষ্ঠীর আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই জন্য সারদা গোষ্ঠী থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা পেতেন পিয়ালি। গত ২৬ মার্চ নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে আস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার সন্ধ্যায় প্রশ্ন করা হলে মদনবাবু প্রথমে বলেন, “এই নিয়ে মন্তব্য করব না।” পরে বলেন, “কোনও সংস্থা যদি কারও পরিষেবার বিনিময়ে টাকা দেয়, আমার কী বলার আছে? আমি কী করব?” পিয়ালির ব্যাপারে মুখ না-খুললেও মদনবাবু অবশ্য দাবি করেন, সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি ওই গোষ্ঠীর একটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বলে এজেন্টদের অভিযোগ। মদনবাবু বলেন, “ওঁদের কোনও সংগঠন আমার নাম ব্যবহার করলে সেই দায় ওঁদেরই। আমার সম্মতি ছাড়াই তা করা হয়েছে।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “আমানতকারীরা যদি সারদা গোষ্ঠীতে রাখা টাকা আদায়ের জন্য মঞ্চ গড়েন, আমি সর্বশক্তি দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াব। পকেটের পয়সা দিয়ে, রাস্তায় নেমে আক্রান্তদের সাহায্য করব। এটা একটা জাতীয় কর্তব্য।” |
পুরনো খবর: পিয়ালি-রহস্যে তদন্তই প্রশ্নের মুখে
|
অসুস্থ কিশোরীর চিকিত্সার ভার নিল সরকার |
বাবা বাগুইআটির একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। মেয়ের ফুসফুসে ফুটো হয়েছে। চিকিত্সা ব্যয়বহুল। টাকা নেই। বিষয়টি জানতে পেরে মানিকতলার মুরারিপুকুরের ১৫ বছরের সেই মেয়ে পল্লবী ঘোষের চিকিত্সার ভার নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মহাকরণে সব্জির দাম নিয়ে টাস্কফোর্সের বৈঠকে ব্যবসায়ী সমিতির নেতা রবীন্দ্রনাথ কোলে পল্লবীর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পল্লবীর বাবা গোবিন্দ ঘোষের একটি আবেদন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখান তিনি। তা পড়েই পল্লবীর চিকিত্সার দায়িত্ব সরকার নেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, পল্লবীর চিকিত্সা চলছে মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালেই এ বছর মাধ্যমিক দিয়েছে। চিকিত্সকেরা বলেছেন, তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। রাতে গোবিন্দবাবু বলেন, “আমি খুব খুশি। একটি পাঞ্জাবির দোকানে কাজ করি। মেয়ের চিকিত্সার পয়সা নেই। মুখ্যমন্ত্রী চিকিত্সা করাবেন বলে জেনেছি। আমরা বেঁচে গেলাম।” |
বেআইনি স্কুলগাড়ি রোধে চাই সচেতনতা, মত পরিবহণমন্ত্রীর |
|
বেআইনি স্কুলগাড়ি রোখার দায় অভিভাবকদের উপরেই চাপালেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। একটি বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের আলোচনাসভায় সোমবার তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে স্কুল-কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হয়ে অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। কেবল সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। সমস্যা সমাধানের বাস্তবসম্মত পথ খুঁজতে হবে।” সভায় মন্ত্রী বেআইনি স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানের নয়া হুমকি দেন। শহর জুড়ে বেআইনি স্কুলগাড়ি চলছে এই অভিযোগে কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’। তার সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “চড়া মাসুল দিয়ে, সরকারি নিয়ম মেনে গাড়ি চালাচ্ছি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্কুলগাড়ি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ব্যবসা করছে।” অনিয়মের কথা স্বীকার করে পরিবহণমন্ত্রী সেই দায় পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের উপরে চাপান। বেআইনি স্কুলগাড়ি রুখতে সরকারি ব্যর্থতার প্রতিবাদে ২৫শে এপ্রিল প্রতীক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। পরিবহণমন্ত্রী দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার আশ্বাস দিয়ে প্রস্তাবিত ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলেন। |
উদ্ধার হলেন অপহৃত যুবক |
অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকা থেকে শেখ নাসিরুদ্দিন নামে ওই যুবককে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানায়, শেখ হান্নান নামে এক ঠিকাদার বছরখানেক আগে বি টি রোডের ধারে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের একটি আবাসন মেরামতির বরাত পান। কাজ দেখভাল করছিলেন তাঁর ভাগ্নে নাসিরুদ্দিন। নলহাটির দুই ঠিকাদার হান্নানকে কুড়ি জন শ্রমিক সরবরাহ করেন। কিন্তু সরকারের থেকে বকেয়া না পাওয়ায় হান্নান শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। গত রবিবার হান্নান থানায় অভিযোগ করেন, বেতন দিতে না পারায় তাঁর ভাগ্নেকে শনিবার অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার ফোনে ঠিকাদারদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা জানায়, টাকা না মেটালে নাসিরুদ্দিনকে ছাড়া হবে না। |
পোশাকি সমারোহ... |
জলে নামল উপকূলরক্ষী বাহিনীর নতুন জাহাজ ‘রাজদূত’।
সেই উপলক্ষে জওয়ানদের নিয়ে এক অনুষ্ঠান। সোমবার, শহরে। ছবি: সুমন বল্লভ। |
|
শাওয়ারের রড ভেঙে জখম বন্দি |
থানার শাওয়ারের রড ভেঙে আহত হল এক বন্দি। সোমবার সন্ধ্যায় লেক থানার ঘটনা। পুলিশ জানায়, চুরি-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ দিন সন্ধ্যায় সে শৌচাগারে যায়। এর পরেই একটি ধপাস শব্দ শুনে থানার অফিসারেরা গিয়ে দেখেন, শৌচাগারের মেঝেতে চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। পাশে শাওয়ারের রডও। পুলিশের অনুমান, ধৃত ব্যক্তি গায়ের জামা খুলে শাওয়ারের রডে ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্বল রডই তাতে বাধ সেধেছে। পড়ে গিয়ে হাতে-পায়ে চোট পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। |
পড়ে আহত বন্দি |
থানার শাওয়ারের রড ভেঙে আহত হল এক বন্দি। সোমবার সন্ধ্যায় লেক থানায়। সে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যায় সে শৌচাগারে যায়। হঠাত্ আওয়াজ শুনে অফিসারেরা সেখানে গিয়ে দেখেন, শৌচাগারের মেঝেতে চিত্ হয়ে পড়ে আছে ওই ব্যক্তি। পাশে শাওয়ারের রড। পুলিশের অনুমান, ওই বন্দি গায়ের জামা খুলে শাওয়ারের রডে ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেছিল। |
এখনও নিখোঁজ |
দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও পাওয়া গেল না মৌটুসী সরকারকে। শনিবার ইডেনে আইপিএল খেলা দেখে ফেরার পথে চাঁদপাল ঘাটে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পড়ে যান ওই তরুণী। তারপর থেকেই কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ডুবুরি নামিয়ে মৌটুসীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। সোমবার
পর্যন্ত প্রায় সারা দিন ধরেই খোঁজ চালিয়েছে পুলিশ। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়েছে, এখনও মৌটুসীর খোঁজ মেলেনি।
|
|
ফুটপাথেই খেলাঘর। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|