ইউনিনরের পরিষেবা বন্ধের পর ভোগান্তি
গ্রাহকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র
মোবাইল পরিষেবা সংস্থা বদলানো নিয়ে ইউনিনর গ্রাহকদের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুরু করল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। এ বিষয়ে তদন্তে নেমে প্রথমে ইউনিনরের কাছে গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে তারা।
টু-জি বিতর্কের জেরে গত জানুয়ারিতে রাজ্যে ইউনিনরের পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির মাধ্যমে অন্য সংস্থার পরিষেবায় চলে গিয়েছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, তা করতে গিয়ে তাঁদের ‘অজান্তে’ই নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য কাউকে। অনেক সময়ে আবার নম্বর নথিভুক্ত হয়েছে নিজের পছন্দের বদলে অন্য কোনও সংস্থায়। কেউ হয়তো পুরনো নম্বর চালু রাখতে এমএনপি-র আবেদনই করেননি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তাঁর নম্বর দিব্যি চালু রয়েছে অন্য সংস্থায় অন্য কারও নামে। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সংস্থার কাছে গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য সম্বলিত আবেদনপত্র চেয়েছে টেলিকম দফতর।
এ নিয়ে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই এবং টেলিকম দফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় টার্ম (টেলিকম এনফোর্সমেন্ট রিসোর্স অ্যান্ড মনিটরিং) সেল-এ অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। কলকাতায় টার্ম সেলের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অতনু ঘোষ বলেন, “তদন্তের স্বার্থে গ্রাহকদের যাবতীয় আবেদনপত্র ইউনিনরের কাছে চাওয়া হয়েছে।”
তদন্তকারীদের আশঙ্কা, কোনও ভাবে গ্রাহকের ইউপিসি-কোড অন্যের হাতে চলে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। ইউনিনরের অবশ্য দাবি, অনিয়মের দায় কোনও ভাবেই তাদের নয়। সংস্থার যুক্তি, নিয়ম অনুযায়ী, এমএনপি-র জন্য গ্রাহককেই নিজের মোবাইল থেকে এসএমএস মারফত আবেদন জানাতে হয়। যা পেলে তাঁর ‘ইউপিসি কোড’ এসএমএস করা হয় ওই মোবাইল নম্বরেই। তা দিয়ে অন্য সংস্থায় পরিষেবার জন্য আবেদন জানাতে পারেন তিনি। সুতরাং অন্য কারও মোবাইলে ওই কোড জানানো সম্ভব নয় বলেই ইউনিনরের দাবি। গ্রাহক নতুন কোন সংস্থার পরিষেবা নেবেন, তা ঠিক করার ক্ষেত্রেও নিজেদের কোনও ভূমিকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে ইউনিনর।
টেলিকম দফতর সূত্রে খবর, ইউনিনরের যে-সব নম্বর এমএনপি-র মাধ্যমে এখনও চালু, তাদের তথ্য সংস্থার পুরনো তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। তথ্য না-মিললে নম্বর ‘ব্লক’ করে দেওয়া হবে। অতনুবাবু জানান, এ রকম গরমিলে গ্রাহক দায়ী হলে, তাঁর বিরুদ্ধে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তাঁরা তা না-করলে অভিযোগ দায়ের করতে পারে টেলি সংস্থা। তারাও যদি চুপ করে থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে টার্ম সেলেরই।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে টার্ম সেলের পরামর্শ, গ্রাহকের পুরনো তথ্য বাধ্যতামূলক ভাবে খুঁটিয়ে দেখুক তারা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.