নেত্রীর নির্দেশ, সুর চড়াবেন না কুণাল
ংসদে ও সংসদের বাইরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর কৌশল নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে দলের রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষকে সুর চড়ানো থেকে আপাতত দূরে থাকতে নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফলে আজ সংসদের বাইরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের বিক্ষোভে অনুপস্থিত ছিলেন কুণালবাবু। রাজ্যসভার অধিবেশন ও সেন্ট্রাল হলে অবশ্য কুণালবাবুকে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, শুভেন্দু অধিকারীর মতো সাংসদেরা এখন দলীয় নেতৃত্বের কাছে কুণালের ইস্তফার দাবি করেছেন। ওই একই দাবি উঠেছে তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভা সাংসদ কে ডি সিংহের বিরুদ্ধেও। যদিও এক প্রশ্নের উত্তরে কে ডি সিংহ জানিয়েছেন, “আমি চিট ফান্ডের ব্যবসা করি না। এবং চাইলে তা আমি প্রমাণ করতে পারি।” দলীয় সূত্র বলছে, শুধু ওই দু’জনই নয়, রাজ্যসভা সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর ইস্তফারও দাবি তুলেছে দলের একাংশ।
সোমবার মহাকরণের সামনে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
ইস্তফার দাবিতে সরব শিবিরের দাবি, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সিবিআইয়ের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে কুণালবাবু ও সৃঞ্জয়বাবুর নাম রয়েছে। ওই দুই নেতার সঙ্গে কত টাকার লেনদেন হয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত। দলের অন্য অংশের প্রশ্ন, কেবল চিঠিতে নাম থাকার কারণেই কেন ইস্তফা দিতে হবে দুই সাংসদকে। তাদের বক্তব্য, ওই দু’জনের নামে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের পাল্টা দাবি, এটা অভিযোগ প্রমাণের বিষয় নয়। দলের ভাবমূর্তির প্রশ্ন। সুদীপ্তবাবুর চিঠিতে দুই সাংসদের নাম সামনে আসায় আখেরে দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। ফলে নৈতিকতার প্রশ্নে তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত। আজ উত্তর কলকাতাতেও কুণালবাবুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় যুব কংগ্রেস। কুণালবাবু জানিয়েছেন, “আমি রাজ্যসভায় যোগদান করার আগেই সারদা গোষ্ঠীতে যোগদান করি। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” তিনি দলীয় নেতৃত্বকে আরও জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ সুদীপ্ত সেন একটি ই-মেলে সংস্থার কর্মীদের জানান, সংস্থার বিপণনে খামতি থাকায় ব্যবসা ডুবেছে। এর সঙ্গে তাঁর বা তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে কুণালবাবু বা সৃঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে মমতা কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই সারদা গোষ্ঠীর কলকাতা ও দিল্লির বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এসে সরাসরি কুণালবাবুর নামে মুকুল রায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দলের সাংসদের নামে এ ভাবে অভিযোগ ওঠা মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। কুণালবাবুর যুক্তি, তাঁর সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর সাংবাদিকতার সম্পর্ক ছিল। ব্যবসার সম্পর্ক ছিল না। সৃঞ্জয়বাবুও জানিয়েছেন, “আমার সঙ্গে চিট ফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। সারদার সঙ্গে আমার কেবল ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তাই চুক্তি হয়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
এই পরিস্থিতিতে মমতা কী করেন সেটাই দেখার। তৃণমূল সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে যে চিঠি লিখেছিলেন তা সিবিআই মমতাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। মমতা ওই চিঠি সদ্য নিযুক্ত শ্যামল সেন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশন এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার পরেই মমতা দলের অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তৃণমূল শিবিরের ধারণা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.