ছাত্রছাত্রীদের ভুয়ো হাজিরা ও রান্না না করে খরচের হিসেব দেখিয়ে মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল সাঁইথিয়ার মথুরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই অভিযোগে সোমবার প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষকদের আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
সাঁইথিয়া চক্রের ওই স্কুলে ৪০ জন পড়ুয়া আছে। গত শুক্র ও শনিবার স্কুলে কোনও রান্না হয়নি। অথচ ওই দু’দিনের খরচের হিসেব দেখানো হয়েছে গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের দাবি। তাই এ দিন স্কুলের গেটে তালা বন্ধ করে অফিসঘরে শিক্ষকদের আটকে রাখেন তাঁরা। দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
অভিভাবক সুজন মণ্ডল, গৌর বাগদিদের অভিযোগ, “কোনও শনিবারই স্কুলে রান্না হয় না। তা সত্বেও প্রধান শিক্ষক রান্নার খরচ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন।” তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক কিষান খেতমজুর সংগঠনের সভাপতি শ্রীদাম মণ্ডলের দাবি, “শুধু ওই ঘটনাই নয়, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ছাত্রছাত্রীদের ভুয়ো হাজিরা দেখিয়েও টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক।” গ্রাম শিক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য তাপস রুজও দাবি করেন, “বিশ্বাস করে এত দিন রান্নার দায়িত্ব শিক্ষকদের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পরে দেখা গেল, দুর্নীতি হয়েছে। আমরা শিক্ষা দফতরে জানাব।”
প্রধান শিক্ষক সুভাষ কবিরাজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রতি শনিবার রান্না হয় না বা ভুয়ো হাজিরা দেখানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিব পুজো উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার স্থানীয় ছুটি ছিল। ওই দু’দিনের বরাদ্দ বাবদ টাকায় অন্য দিন ভাল খাবার দেওয়ার জন্যই খরচের হিসেব দাখিল করা হয়েছিল। তাঁরা ভুল বুঝেছেন।” অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবদীপ সরকার বলেন, “ওই স্কুলে মিড-ডে মিল নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |