ক্রিকেট নিয়ে গোলমালের জেরে নবম শ্রেণির এক ছাত্র সহপাঠীকে বাড়িতে ডেকে উইকেট দিয়ে পিটিয়েছিল বলে অভিযোগ। বন্ধুটি পরে মারা যায়। সোমবার অভিযুক্তের বাবা ও দাদুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার মা বেপাত্তা।
মৃত ছাত্রের সৌরভ মাজিল্যা (১৪)। বাড়ি বর্ধমানের মেমারি থানার চাকুন্দি গ্রামে। তার বাবা মধুসূদন মাজিল্যার অভিযোগ, স্কুলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বচসা হয়েছিল। সেই গোলমাল মেটানোর নাম করে গত ১৭ এপ্রিল সৌরভকে নিজের বাড়িতে ডাকে তার এক সহপাঠী। সৌরভ গেলে তাকে উইকেট দিয়ে পেটানো হয়। বাড়ির লোকজনও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন।
পরে সৌরভকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে যান মধুসূদনবাবুও। সৌরভের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক জানিয়ে চিকিত্সক তাকে অবিলম্বে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু কলকাতার পথে হুগলির সিঙ্গুরের কাছে সৌরভের মৃত্যু হয়। তবে ময়না-তদন্ত না করিয়েই মৃতদেহ সত্কার করে দেওয়া হয়। চার দিন পরে, রবিবার রাতে মধুসূদনবাবু পুলিশে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে তিনি কোনও কথাও বলতে চাননি।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি। অভিযোগ না করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পিছনে ঠিক কী কারণ ছিল, কেন দেরিতে অভিযোগ দায়ের করা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কোনও মহল থেকে মধুসূদনবাবুদের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল কি না, পুলিশ সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছে। |