আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে ধরল কুলটির ডিসেরগড় ফাঁড়ির পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ধৃত এই দুই দুষ্কৃতীর নাম বিনোদ সাউ ও অমলেশ তিওয়ারি ওরফে বাবলু। বিনোদ বিহারের মজফরপুরের লোহারগামা গ্রাম ও অমলেশ ধোলী গ্রামের বাসিন্দা। কুলটি থানার ডিসেরগড়ের কাছে দামোদর নদের পাড়ে একটি মন্দির থেকে এদের ধরা হয়। এদের কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল ও তিনটি পাইপগান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৯ এমএম পিস্তলের নয়টি কার্তুজ ও পাইপগানে গুলির জন্য ব্যবহারযোগ্য ২৫টি তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। |
উদ্ধার হওয়া কার্তুজ। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা স্বীকার করেছে, এই অস্ত্র ও কার্তুজগুলি পুরুলিয়ার কাশীপুর কলোনি এলাকায় কোনও এক ব্যক্তিকে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল এরা। তবে কার কাছে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে এগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তা বলতে চায়নি। বিহারের মোতিহারি জেলার চাকিয়ার বাসিন্দা অজয় গুপ্তের কাছ থেকে তারা এগুলি কিনেছে বলে দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি বরাকরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির পর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। সন্দেহভাজন অপরিচিত লোকজন দেখলেই পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। রবিবার গভীর রাতে ওই দুই দুষ্কৃতীকে মন্দির চত্বরে দেখতে পেয়েই পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপরেই অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়।
রেল সপ্তাহ পালন। সম্প্রতি রেল সপ্তাহ শেষ হল পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে। আসানসোলের নজরুল মঞ্চে ৫৮তম রেল সপ্তাহ উপলক্ষে প্রায় ৪৫০ জন কর্মীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন বিভিন্ন দফতরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখানোয় ১১টি শিল্ড জিতেছে। পূর্বরেলের আসানসোল ডিভিশনের এই সাফল্যকে ডিভিশনের সমস্ত কর্মচারীর সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জয় সিংহ গেহলোদ। আগামী বছরের রেল সপ্তাহেও এই সাফল্য ধরে রাখতে তিনি রেল কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেন। |