চিনের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৩। আহতের সংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি। গুরুতর জখম ৯৬০ জন। রবিবার দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের ইয়ান শহরের পাশ্ববর্তী লুসান অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করে বহু দেহ। তবে ওই অঞ্চলে উদ্ধারকার্য অনেকটাই ব্যাহত হয়। উদ্ধারকারীদের দাবি, ওই অঞ্চলে রাস্তাগুলো খুবই সংকীর্ণ। আবার ধস নামায় যানবাহন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। এর ফলে আহতদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে অসুবিধায় পড়েছেন ত্রাণকর্মীরা। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, যানজট থাকা সত্ত্বেও ধীরে ধীরেই চলছে ত্রাণের কাজ। যদিও পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি এখনও। তাই খোলা আকাশের তলায় অথবা মাঠের মধ্যেই তাঁবু খাটিয়ে চলছে আহতদের চিকিৎসা। |
ভূমিকম্পে আহতদের সেবায় ব্যস্ত ডাক্তাররা। ছবি: এএফপি। |
অদ্ভূত ভাবে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই এলাকার স্কুলগুলি। ২০০৮-এর ভূমিকম্পে প্রচুর স্কুল ভেঙে গিয়ে পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। এর ফলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে চিনের সরকার। সরকারের তহবিল থেকে খরচ করে গড়ে তোলা হয় স্কুলগুলি।
তবে এ বারের ভূমিকম্পে জায়ান্ট পান্ডাদের অবস্থা খুবই করুণ। ভূমিকম্পে ভীতগ্রস্থ পান্ডারা গাছ থেকে নামতেই চাইছে না। সিসিটিভি-র একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্প হওয়ার সময়ে পান্ডারা গাছেই তাদের আশ্রয়ের স্থান খুঁজে পায়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও পান্ডারা গাছেই রয়ে গেছে।
|