|
|
|
|
মমতা-অমিতের নিগ্রহ |
আজ সংসদ অচলের হুমকি তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দিল্লি-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ, সোমবার থেকে সংসদ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৯ এপ্রিল দিল্লিতে যোজনা কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে নিগ্রহ করে এসএফআই। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে রবিবার সমাবেশ করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সেখানেই সুদীপবাবু ঘোষণা করেন,“দিল্লি-কাণ্ডে অভিযুক্তরা
ধরা না পড়লে সংসদও কাল থেকে চলবে না।”
আজ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দিল্লি-কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে সংসদে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে তাঁরা ধর্নায় বসবেন বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায়। বস্তুত, ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে রাজ্যে যে তোলপাড় চলছে, সেই আবহেই সংসদের ভিতরে-বাইরে তো বটেই, রাজ্যের সর্বত্র তাঁদের আন্দোলনের কর্মসূচি জানিয়েছিলেন মুকুলবাবু। সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসাবে দলের সাংসদ ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী এ দিনের সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। |
|
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সমাবেশে ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র |
ওই সমাবেশে সুদীপবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের পরে তৃণমূলের সাংসদরা যদি সংসদ চলতে দেন, তা হলে দেশের মানুষ আমাদের নপুংসক বলবে। ফলে সংসদের ভিতরে বাইরে আমাদের বিক্ষোভ-বিদ্রোহ চলবে।”
সুদীপবাবুর বক্তব্যের সূত্র ধরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ও হুমকি দেন, “আমরা চার সাংসদ আমি, সুব্রত বক্সী, কাকলি ঘোষদস্তিদার ও শুভেন্দু অধিকারী মিলেই লোকসভা বন্ধ করে দিতে পারি। দেবও। যতক্ষণ না মমতাদি, অমিতদার উপর হামলাকারীরা গ্রেফতার হচ্ছে।” মুকুলবাবু, সাংসদ শিশির অধিকারী, সুব্রত বক্সী, সৌগত রায়ও ওই সভায় জানান, দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা লাগাতার ধর্নায় বসবেন সংসদ চত্বরে। ভিতরেও বিক্ষোভ দেখাবেন। রাজ্যে উন্নয়ন স্তব্ধ করতে সিপিএম কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, তা নিয়েও দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান।
এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিল্লি-কাণ্ডের বিবরণ দেন। তিনি দিল্লির ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ফিরহাদের কথায়, “সে দিন মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁকে পিছন থেকে রড দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। আমি রডটা ধরে ফেলেছিলাম।” এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশেরও সমালোচনা করেন ফিরহাদ। সভায় রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, সৌরভ চক্রবর্তী, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ দিল্লি-কাণ্ডকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। |
পুরনো খবর: রাজধানীতে এসএফআইয়ের হাতে নিগৃহীত অমিত মিত্র |
|
|
|
|
|