এখনও খোঁজ মিলল না গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া বছর একুশের তরুণী মৌটুসী সরকারের। শনিবার কলকাতায় ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের খেলা দেখে ফেরার পথে চাঁদপাল ঘাটে লঞ্চে লাফিয়ে উঠতে গিয়ে গঙ্গায় পড়ে যান ওই তরুণী। তরুণীর সঙ্গে পড়ে যান তাঁর দিদি মৌসুমী-সহ মোট পাঁচ জন। ঘটনায় সুধীন হাজরা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবক-সহ বাকিদের উদ্ধার করা হয় শনিবার রাতেই। নামানো হয় পুলিশের ডুবুরি বাহিনী। কিন্তু শনিবার পেরিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত মৌটুসীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, যেহেতু সেই সময় জোয়ার ছিল, তার টানে ওই তরুণীর দেহ অন্য কোনও দিকে চলে যেতে পারে। তা ছাড়া সাধারণত ২৪ ঘণ্টা না পেরোলে দেহ ভেসে ওঠার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। |
রবিবারেও হদিস মিলল না গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া তরুণীর। |
শনিবার সারা রাত তল্লাশির পরে রবিবার সকাল থেকেই চাঁদপাল ঘাট এবং আশপাশে পুলিশের ডুবুরি-বাহিনী নামানো হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে লঞ্চ নিয়ে টহলদারি। নামানো হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। বাহিনীর ডুবুরি গঙ্গায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু রবিবারও রাত পর্যন্ত মৌটুসীর কোনও খোঁজ মেলেনি।
আসানসোলের বাসিন্দা মৌটুসী এবং মৌসুমী সরকার হাওড়ার বালিতে মামার বাড়ি এসেছিলেন শুধুমাত্র ইডেনে আইপিএল খেলা দেখার জন্য। মৌটুসীর এক কাকা তরুণ সরকার কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস শাখার ইনস্পেক্টর। রবিবার তিনি জানান, মৌটুসী বি ফার্মার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা দেখতে মৌটুসী ও তাঁর দিদি মৌসুমী মামা এবং মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে ইডেনে যান। খেলা শেষে আটটা নাগাদ তাঁরা জেটিতে এসে পৌঁছন। শেষ লঞ্চের আগের লঞ্চে ওঠার জন্য তখন হুড়োহুড়ি চলছে। ফলে জেটি থেকে লঞ্চ ছেড়ে দিলেও অনেকেই লাফিয়ে তাতে উঠতে যান। তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।
এর মধ্যে অবশ্য ক্ষীণ একটা আশায় রয়েছেন মৌটুসীর পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, আগে জলে পড়ে গিয়েছিলেন মৌসুমী, তাঁর হাত ধরেছিলেন মৌটুসী। সে ক্ষেত্রে হয়তো বা তিনি জলে না পড়ে চাঁদপাল ঘাটের ভিড়ে কোথাও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এই আশাটুকুই এখন ভরসা সরকার পরিবারের।
|