এক শিশুকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফা থানার এলাকার উত্তর পূর্বাচল ক্যানাল বস্তিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুটির মা পরিচারিকার কাজ করেন। এ দিন দুপুরে কাজ থেকে ফিরে তিনি দেখেন, বছর চারেকের মেয়েটি বাড়িতে নেই। বিপদ আঁচ করে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। তিনি পুলিশকে জানান, ওই এলাকার আর একটি বাড়ি থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই বছর পনেরোর ওই কিশোরকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই মহিলার অভিযোগ, ওই কিশোরই তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। গড়ফা থানায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে ওই শিশুটির এবং অভিযুক্ত কিশোরের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে তা থেকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা-মা ঠিকা শ্রমিক। সোমবার তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায় দুই নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে শনিবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন দুই মেয়েকে নিয়ে রবীন্দ্র সদনে একটি অনুষ্ঠান দেখতে যান এক দম্পতি। তখনই নীরজ কুমার ঠাকুর (২৮) নামে এক যুবক তাঁদের দুই মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই নীরজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
|
স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এক স্কুলছাত্রীর অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। রবিবার, ধর্মতলা এলাকা থেকে। উদ্ধার করা হয়েছে শ্যামপুকুরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকেও। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ভাস্কর চৌধুরী। বছর তিরিশের ওই যুবকের বাড়ি হুগলির ডানকুনি এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন আগে চিৎপুরের বাসিন্দা বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে যান তার অভিভাবকেরা। ওই দিন স্কুল থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। থানায় পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভাস্কর নামে এক যুবক যে এতে জড়িত থাকতে পারেন এই সন্দেহের কথাও ওই কিশোরীর পরিজনেরা তদন্তকারীদের জানান। এমনকী পুলিশকে অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের নম্বরও জানায় ওই কিশোরীর পরিবার। অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ‘ট্র্যাক’ করে পুলিশ। তবে প্রথমে সেটি সুইচ অফ করা ছিল। এর পরে কয়েক মুহূর্তের জন্য ফোনটি অন করে কাউকে ফোন করা হয়। তখনই দিঘা এলাকায় সেটির টাওয়ারের হদিস মিলেছিল। এ দিন সকালে ধর্মতলায় ওই মোবাইলের সন্ধান মেলে। এর পরেই অভিযুক্তকে ধরা হয়। কী কারণে ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |