ব্লকএলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক শিকলবন্দী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন এমন কোনও খবর ছিল না মঙ্গলকোটের বিডিও সুশান্তকুমার মণ্ডলের কাছে। শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই মঙ্গলকোটের বিডিওর নির্দেশে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যান যুগ্ম বিডিও সন্দীপ সিংহ রায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। ওই যুবকের ওষুধ ও পথ্যের ব্যবস্থাও করেছে মঙ্গলকোট প্রশাসন। মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুকুর গ্রামের অমিত মাঝি প্রায় দু’বছর ধরে শিকলবন্দী হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন বাড়িতে। তাঁর দু’পায়ে শিকলের বেড়ি পরানো ছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক বাড়ি থেকে পালাতেন, আত্মীয় স্বজনদের মারধর করতেন, বাড়িতেও তাণ্ডব চলত। তাই তাঁকে শিকল পরিয়ে রেখেছিলেন বাড়ির লোকজন। পরিবারের দাবি, কোথাও ঠিক মতো পরামর্শ না পাওয়ায় তাঁরা অমিতের চিকিৎসা করাতে পারেননি। |
শনিবার এই খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়ার পরে সুশান্তবাবু ওই ব্লকের যুগ্ম বিডিওকে কোঁয়ারপুকুর গ্রামে যেতে বলেন। সন্দীপবাবু স্থানীয় চিকিৎসক ও পুলিশ নিয়ে গ্রামে যান। সন্দীপবাবু বলেন, “প্রথমেই আমরা অমিতের শিকল খুলে দিয়েছিলাম। চিকিৎসকেরা ওঁকে দেখে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। আমরা সেখানে ভর্তি করিয়েছি। অমিতের মা উত্তরাদেবী এ দিন বলেন, “ভগবান বোধ হয় এ বার মুখ তুলে তাকিয়েছেন। প্রশাসনের সাহায্য পেয়ে হয়তো ছেলে এ বার সুস্থ হবে।” এ দিন সুশান্তবাবু বলেন, “প্রশাসনের তরফে যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হবে। আমরাও চাই, ওই যুবক সুস্থ হয়ে উঠুক।” তিনি আরও জানান, ছুটির দিন রবিবারেও মঙ্গলকোট ব্লক অফিসের কর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে যুবকটিকে সাহায্য করে আসছেন।
|