ভবানীপুর সঙ্গীত সম্মিলনীর সভা ভবনে সম্প্রতি সঙ্গীতাচার্য শ্যাম গঙ্গোপাধ্যায়ের শতবর্ষ পালিত হল। বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। প্রথম পর্বে রূপক পালের সরোদে পরিবেশিত হয় রাগ বেহাগ। সাবলীল রূপায়ণ। তবলায় উদীয়মান কৃষ্ণেন্দু পাল সুন্দর সহযোগিতা করেন। দ্বিতীয় পর্বে শ্যামবাবুর প্রিয় শিষ্য অমলেন্দু চৌধুরী সেতারে বিন্যস্ত করেন প্রথমে শ্যামকল্যাণ পরে জয়জয়ন্তী। দু’টি রাগের বিন্যাসে বিশেষ পারদর্শিতার পরিচয় রাখেন শিল্পী। ছান্দিক উত্তেজনা ও মাধুর্য আদ্যন্ত অক্ষুণ্ণ থাকে। অনুষ্ঠানের সামগ্রিক সৌন্দর্য সৃষ্টিতে সংগ্রাম রায়ের তবলা সহায়ক হয়। অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী ছিলেন দেবাশিস অধিকারী। মালকোষ রাগে খেয়াল ও পিলু ঠুমরি পরিবেশন করেন শিল্পী। রাগ বিস্তার ও বলিষ্ঠ তান উল্লেখের দাবি রাখে। বিশ্বজিত্ দেব তবলায় এবং রতন নট্ট হারমোনিয়ামে যোগ্য সঙ্গত করেন।
|
সম্প্রতি ওকাকুরা ভবনে ‘অগ্নিবীণা’র অনুষ্ঠানে রবীন মুখোপাধ্যায়ের বিদ্রোহী কবিতার অংশবিশেষ সৃষ্টি করেছিল এক অনন্য শৈল্পিক আবহ। প্রথম দিনে নজর কাড়ে মঞ্জুষা চক্রবর্তীর কীর্তনাঙ্গের ‘ব্রজে আবার আসবে’ গানটি। তাঁর গাওয়া নজরুলগীতিও হৃদয়গ্রাহী। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিবেশনা ছিল শেখ শওগাতের রাম ও কৃষ্ণ বিষয়ক ভক্তিসঙ্গীত এবং সুচিত্রা ঘোষের ‘আসিবে তুমি’ গানটি। নূপুর কাজীর ‘খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে’ ভাল। আবৃত্তিতে দিপু কাজী এবং বাবলি সাহা যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন। অধীর বাগচির ‘জনম গেল’ অনবদ্য। কুমকুম সেনগুপ্ত, অভিজিত্ দাস ও অর্চনা বসুর গানের পর শম্পা কুণ্ডুর ‘হোরির রং’ গানটিতে ছিল শ্রুতিমাধুর্যের আবেশ।
|
সম্প্রতি কলাকুঞ্জে বেলা সাধুখাঁ গাইলেন ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’। তাঁর এদিনের নিবেদন ছিল মনোগ্রাহী। বাসবী বাগচি এদিন শোনালেন ‘আকাশে দুই হাতে, আমি তোমায় যত’। সুচিন সিংহের গান এ দিন ছিল হৃদয়গ্রাহী। শোনালেন ‘হৃদয় নন্দন বনে’ এবং ‘আমার মনের কোণের বাইরে’। মধুছন্দা ঘটকের ‘সখী বহে গেল বেলা’ এবং তাল ছাড়া ‘আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের’ শুনতে ভাল লাগে। মহুয়া দাস আবৃত্তিতে সংযত উচ্চারণে শোনালেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’। ড. চিত্রলেখা চৌধুরী গাইলেন ‘হে সখা মম হৃদয়ে রহো’ গানটি। এ ছাড়াও শান্তিপ্রিয় সেনগুপ্ত ও কাকলী দাসের পরিবেশনাও উল্লেখের দাবি রাখে। সঞ্চালনায় মহুয়া দাস। |