|
|
|
|
একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি, তদন্ত শুরু প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানালেন তৃণমূল পরিচালিত ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। অভিযোগ পেয়ে পৃথক ভাবে তদন্তে নেমেছে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী, ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও বেঁউদিয়া পঞ্চায়েত ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের টাকা খরচ ও কাজের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু, সেই পরিসংখ্যান ও বাস্তবে কাজের প্রকাশ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের অন্দরে। অভিযোগ উঠছিল বিরোধীদের পক্ষ থেকেও। এ বার তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্বে তা প্রকাশ্যে এল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ বলেন, “ওই পঞ্চায়েতের শেরপুর বুথের ১০০ দিনের প্রকল্পে তিন জন সুপারভাইজার সোনাময়ী ভোজ, সুপর্ণা পাল, শিউলি জানা এবং ভীমচক বুথের দলীর পঞ্চায়েত সদস্য টোকন কর আমার কাছে লিখিত ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তাই তদন্ত করতে বলেছি।” তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তা ছাড়া আমি প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি, করেছি পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক শুভদীপ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।” প্রধানের স্বাক্ষর বা অনুমোদন ব্যতীত যেখানে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় না সেখানে কোনও প্রকল্পে দুর্নীতি হলে দায় বর্তায় প্রধানের উপরও। দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে মরিয়া প্রধান অভিজিৎ দাসও। তিনি বলেন, “আমার সাফল্যে সভাপতির হিংসা হয়েছে। তাই মিথ্যে অভিযোগ করছেন।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “গোষ্ঠী রাজনীতি করতে গিয়ে উনি দলের ক্ষতি করেছেন।” নির্মাণ সহায়ক শুভদীপ মণ্ডল বলেন, “দুর্নীতিতে সায় দিচ্ছি না বলেই, এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।” বিডিও উমাশঙ্কর দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” বৃহস্পতিবার এগরা মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। মহকুমাশা সক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’জন আধিকারিককে তদন্তে পাঠানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|