|
|
|
|
অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে নৌকো |
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
বন্যার সময় যার জন্য হাহাকার, অন্য সময় তার কদর নেই। নিতান্তই অবহেলায় ফেলে রাখা হয়। এই ভাবেই নষ্ট হতে বসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের দু’টি নৌকো। আর একটি নৌকো এ ভাবে পড়ে
থাকতে-থাকতে ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আগেই। হুঁশ নেই প্রশাসনের। সবংয়ের বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর নৌকো দু’টি বেলঘরিয়ায় দফতরের গুদামে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
এতে দেরি হচ্ছে কেন? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি নৌকো পাঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছে দফতর। কিন্তু পাঠানোর জন্য যে ব্যয় হবে তা কোন খাত থেকে দেওয়া হবে উল্লেখ নেই। দু’টি নৌকোর জন্য দু’টি গাড়ির প্রয়োজন। তা ওঠানো-নামানোর জন্যও মজুরি খরচ হবে। কোন খাত থেকে সেই খরচ দেওয়া হবে তা নিয়ে সংশয় থাকায় রোদে, জলে পড়ে পড়ে নষ্ট হতে চলেছে নৌকো দু’টি। |
|
|
অযত্নে। সবং বিডিও অফিসে সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি। |
|
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ফি বছরই বন্যা লেগেই থাকে। ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাতে বন্যা তো হয়ই, এমনকী মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর, খড়্গপুর মহকুমার নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, কেশিয়াড়ি, দাঁতন-সহ বিভিন্ন এলাকাতেও বন্যা হয়। যদিও গত বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় বন্যা হয়নি। নতুবা সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা দেখা দেয় সবংয়ে। এই কারণেই গত বছর বন্যার আগে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে দু’টি যন্ত্রচালিত নৌকো পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্যা না হওয়ায় নৌকোতে লাগানো যন্ত্র দু’টি খুলে নিয়ে চলে যান দফতরের কর্মীরা। থেকে গিয়েছে নৌকো দু’টি। যেগুলি অফিসের এক কোণে পড়ে রয়েছে। তার চারপাশে মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। ফলে মাটিতে কিছুটা অংশ চাপাও পড়ে গিয়েছে। নৌকোর উপরের অংশের কিছু কিছু জিনিস ইতিমধ্যেই নষ্টও হয়ে গিয়েছে। আরও কিছুদিন পড়ে থাকলে তা একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। যেমনটি হয়েছে আর একটি নৌকোর ক্ষেত্রে। ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠের তৈরি নৌকোটি সবংয়ের একটি সংস্থা প্রশাসনকে দান করেছিল বেশ কয়েকবছর আগে। রক্ষণাবেক্ষণ
না করায় তা একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। |
|
|
|
|
|