দক্ষিণ কলকাতা
খেলা
মাঠের টানে
বারুইপুর স্টেশন থেকে কুলপি রোড ধরে রাস মাঠের দিকে এগোতেই চোখে পড়েছিল ফুটবল উৎসবের বিশাল গেট। নৈশালোকে ফাইনালের আঁচ নিতে সন্ধে থেকেই লাইন দিয়ে টিকিট কিনে মাঠে ঢুকতে শুরু করেছিলেন প্রায় কয়েক হাজার দর্শক। রিয়েল স্টার ক্লাব আয়োজিত এই ফুটবল উৎসবের জমজমাট ফাইনালে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যমগ্রাম ভাই ভাই সঙ্ঘকে হারিয়ে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হল উড়ান গ্রুপ বাঘাযতীন।
কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার আটটি দলকে নিয়ে শুরু হয় এ বারের ফুটবল উৎসব। প্রথম সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের সুহানা সফরকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভাই ভাই সঙ্ঘ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গড়িয়ার ফ্রেন্ডস সার্কল্সকে ২-০ গোলে হারায় বাঘাযতীনের উড়ান গ্রুপ।
খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় বাঘাযতীন দলের নাইজিরিও স্ট্রাইকার চার্লস চমৎকার একটি সুযোগ পেলেও মধ্যমগ্রামের গোলরক্ষক কল্যাণ লোধ গোল বাঁচিয়ে দেন। প্রথমার্ধে বাঘাযতীনের কার্তিক কিস্কু, অ্যান্টনি সোরেনরা একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই গোল পায়নি। শেষে টাইব্রেকারে বাঘাযতীনের গোলরক্ষক রাজু গঙ্গোপাধ্যায় একটি শট রুখে দেওয়ায় ৫-৪ ব্যবধানে ট্রফি জিতে নেয় উড়ান গ্রুপ বাঘাযতীন।
প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান চ্যাম্পিয়ন দলের অ্যান্টনি সোরেন ও চার্লস। আতসবাজির রোশনাইয়ে দশম বারুইপুর ফুটবল উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ছিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। আয়োজক ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর সাধুখাঁর কথায়, “দুটো উদ্দেশ্য নিয়ে এই ফুটবল উৎসবের আয়োজন। এলাকার মানুষকে ভাল ফুটবল ম্যাচ দেখার সুযোগ করে দেওয়া ও দু’টি দুঃস্থ পরিবারের অসুস্থ দুই শিশুর চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্য করা।” পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেই ক্যানসারে আক্রান্ত ১৬ ও ৯ বছরের দুই কিশোরের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন আয়োজকেরা।

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.