দক্ষিণ কলকাতা
সুরাহা কবে
জঞ্জালের জ্বালা
বিকল্প জায়গা নেই। তাই সরানো যাচ্ছে না ভ্যাট। আর এই ভ্যাট নিয়েই নাজেহাল এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, গড়িয়ার রথতলা এলাকায় এন এসসি বসু রোডের উপরের ভ্যাটটি স্থানান্তরের জন্য বেশ কয়েক বার সংশ্লিষ্ট মহলে আবেদন করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। একই অভিযোগ রথতলা সংলগ্ন নাকতলা স্কুল মোড়ের ভ্যাটটি নিয়েও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু বার জানানো সত্ত্বেও ভ্যাট সরাতে উদ্যোগী হননি কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, অনেক সময়েই ওই দু’টি ভ্যাটের আবর্জনা রাস্তায় চলে আসে। দিনের বেলায় ব্যস্ত রাস্তার উপরেই ময়লা তোলার গাড়ি দাঁড় করিয়ে আবর্জনা তোলা হয়।
ভ্যাট সংলগ্ন বাড়িগুলির বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা তোলার সময়ে এত দুর্গন্ধ ছড়ায় যে ঘরের মধ্যে টেকাই দায় হয়। অনেক বার ভ্যাট সরানোর আবেদন করেও কোনও সাড়া মেলেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ভ্যাটের ময়লা উপচে রাস্তায় চলে আসে। তখন ওই পথে হাঁটাই দায় হয়ে ওঠে। ব্যস্ত রাস্তার পাশে ময়লা পড়ে থাকায় যান চলাচলেও যথেষ্ট অসুবিধা হয়। এ ছাড়াও দুর্গন্ধ, পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগেই থাকে। সমস্যার সুরাহার জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যার সুরাহা চেয়ে বাসিন্দারা এক বার নাকতলা স্কুল মোড়ে পথ অবরোধও করেছিলেন। এলাকার মানুষ জানালেন, গত কয়েক বছরে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে সৌন্দর্যায়নের জন্য অনেক কাজ হলেও এলাকার প্রধান রাস্তার পাশ থেকে ভ্যাট দু’টি সরানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অসহায়। ভ্যাট দু’টি অনেক বার সরানোর চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি।”
বাড়ির একতলায় খাবারের দোকান খুলেছিলেন নাকতলা স্কুল মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ চৌধুরী। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়। সুরজিৎবাবুর কথায়: “বাড়ির পাশেই ভ্যাট। সারা বছর ঘরের জানালা খোলা যায় না দুর্গন্ধের জন্য। ওই দুর্গন্ধ সহ্য করে খাবার দোকান চালানো যাচ্ছিল না।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময়ে নাকতলা স্কুল মোড় সংলগ্ন ভ্যাটটি এলাকার ভিতরেই ছিল। পরে ভ্যাটটিকে এনএসসি বসু রোডের পাশে নিয়ে আসা হয়। নিত্যযাত্রী থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সকলেরই অভিযোগ, রাস্তার পাশে এই রকম খোলা ভ্যাট থাকায় তাঁদের নিয়মিত যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “ওই দুই এলাকার সমস্যা আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা ওখানে অত্যাধুনিক ঢাকনা দেওয়া আবর্জনা সংগ্রহের পাত্র বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.