|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
নেই রক্ষণাবেক্ষণ |
ত্রিভঙ্গে ত্রিফলা |
দেবাশিস দাস |
কোথাও একটি মাত্র শেড রয়েছে। কোথাও আবার দু’টি শেডই উধাও। কোথাও দু’দিন আলো জ্বলে তো পরের পাঁচ দিন জ্বলে না। বেহালার বিভিন্ন এলাকার ত্রিফলা আলোগুলি নিয়ে এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বেহালা চৌরাস্তা, শিমুলতলা, ম্যানটন, ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, অজন্তা, তারাতলা, ২৯ পল্লি, ঘোলসাপুর রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় হতশ্রী অবস্থায় পড়ে রয়েছে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি। কোনওটির দু’টি শেডই উধাও, কোনওটির শেড ভেঙে বেরিয়ে রয়েছে বাল্ব। কোথাও ফুটো হয়ে গিয়েছে শেড। কোনও কোনও জায়গায় তিনটি শেডই উধাও হয়ে দাঁড়িয়ে শুধু কাঠামোটি। কোথাও আবার বেহাল স্তম্ভে ঝুলছে বিজ্ঞাপনের বোর্ড।
|
|
যাতায়াতের পথে যেখানে যখনই ত্রিফলা আলোর বেহাল দশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে পড়ে তখনই তিনি সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিষয়টি জানিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সত্ত্বেও এলাকার নানা জায়গায় ত্রিফলা আলোর এ হেন দশায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব তো রয়েছেই। পাশাপাশি আলো জ্বালানোর বিষয়ে নিয়মিত নজরদারিরও কোনও ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে এলাকার সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখতেন। কিন্তু কয়েক মাস পরেই সেই রাশ আলগা
হতে শুরু করে। এর জেরেই ত্রিফলা স্তম্ভগুলির এমন হাল হয়েছে।
বাসিন্দা দ্বিজেন দাসের কথায়: “প্রথম দিকে নিয়মিত যখন এই বাতিস্তম্ভগুলোতে আলো জ্বলত তখন সন্ধ্যার পরে এলাকার চেহারাটাই বদলে যেত। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অল্প দিনের মধ্যেই ত্রিফলা আলোগুলির এমন হতশ্রী চেহারা
হয়ে উঠল।” |
|
১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুশান্ত ঘোষ বলেন, “সমস্যাটি আমাদের নজরে এসেছে। যে সব বাতিস্তম্ভ ভেঙে রয়েছে সেগুলো সারানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের মানিক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়: “এলাকার কোন বাতিস্তম্ভগুলো বেহাল হয়ে আছে তা আমরা চিহ্নিত করেছি। উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।”
তবে এই আশ্বাসে আর ভরসা রাখতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, শুরু থেকে বাতিস্তম্ভগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হলে অল্প দিনের মধ্যে এই হাল হত না। বেহাল বাতিস্তম্ভগুলির কথা বার বার বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি পুর কর্তৃপক্ষের তরফে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (আলো) মনজর ইকবাল বলেন, “বেহালা এলাকার যে সব অঞ্চলে ত্রিফলা আলোর স্তম্ভগুলো খারাপ হয়ে রয়েছে আমি দফতরের কর্মীদের সেগুলো পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দেব। তার পরে তা সারানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
|
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|