|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
ছোটদের জন্য |
কমিকস-পার্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নন্টে-ফন্টে, হাঁদা-ভোঁদা, এমনকী কেল্টুদাও হাজির। হাজির নন্টে-ফন্টেদের বোর্ডিংয়ের সেই মজার সুপারিন্টেন্ডেন্ট। এদের সকলকে এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে বাঙুরের বি-ব্লকে সদ্য চালু হওয়া চিলড্রেন্স পার্কে। নানা মজার রাইডের পাশাপাশি পার্কটি সেজে উঠেছে কমিকসের নানা চরিত্রের মডেল দিয়েও।
বি-ব্লকের পার্কের এক দিকটা আবর্জনায় ভরে উঠছিল। সেই আবর্জনা সরিয়ে প্রায় কুড়ি কাঠা জমিতে এই পার্কটি তৈরি করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি। সকাল সাতটা থেকে সাড়ে ন’টা ও বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই পার্ক। শিশুদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের জন্যও এখানে রয়েছে বসার জায়গা। কর্তৃপক্ষ জানালেন, পার্কে ঘুরতে ঘুরতে ছোটরা শুনতে পাবে নানা মজার কবিতা ও কমিকস-চরিত্রের সংলাপ। পার্কের এক দিকে রয়েছে একটি মিশরীয় স্থাপত্য। আবার রাতে আধুনিক আলোয় সেজে উঠবে পার্ক। |
|
ছবি: দেবীপ্রসাদ সিংহ |
প্রথম দিন অভিভাবকদের সঙ্গে পার্কে এসেছিল এক দল কচিকাঁচা। এক অভিভাবক প্রসেনজিৎ চৌধুরী বললেন, “এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে ভবিষ্যতে যাতে পার্ক অবহেলা ও অযত্নে নষ্ট না হয়ে যায় সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পার্ক। চলতি মাসের ১৩ তারিখ এই পার্কের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু, দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন অঞ্জনা রক্ষিত, স্থানীয় কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য এবং কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, “মাত্র ন’মাসের প্রচেষ্টায় এই পার্ক আমরা তৈরি করলাম। ভবিষ্যতে বাঙুরে আরও সৌন্দর্যায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|