|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা
পানিহাটি
|
সঙ্কট চলছেই |
প্রসেনজিত্ পাঠক |
গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র জলসঙ্কট শুরু হয়েছে পানিহাটি পুর এলাকায়। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছে জলের গাড়ি। তাতেও সঙ্কট মিটছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষও।
পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার ৭৭টি বড় এবং ২০টি ছোট পাম্প রয়েছে। গ্রীষ্মের শুরুতে সবগুলিতেই জলস্তর নেমে গিয়েছে। ফলে জল উঠছে কম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলের চাপ কমে গিয়েছে। কল খুললে জল পড়ছে সরু সুতোর মতো। ১৯, ২০, ২১, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে সঙ্কট চলছে। গৃহস্থালির কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় জলটুকু সংগ্রহ করতেই বাসিন্দাদের জেরবার হতে হচ্ছে। |
|
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডলের কথায়: “গ্রীষ্মের শুরুতেই জলকষ্ট চরমে উঠেছে। সব জায়গায় জলের গাড়ি মিলছে না। গরম আরও বাড়লে কী হবে
জানি না?” অভিযোগ, নিয়মিত পাইপলাইন পরিষ্কার না করায় কোথাও কোথাও জলের সঙ্গে আয়রন বেরোচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামলাতে পুরসভা ৪০টি জলের গাড়ি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছে না। কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলের গাড়ি চেয়েও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।দক্ষিণেশ্বরের ‘বরাহনগর-কামারহাটি জয়েন্ট ওয়াটার ওয়ার্কস’ থেকে বরাহনগর, কামারহাটি, দমদম, উত্তর দমদম পুরসভার পাশাপাশি পানিহাটি পুর এলাকাতেও জল সরবরাহ করা হয়। এখান থেকেও জলের জোগান উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে
বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি। তা ছাড়া পুরকর্তাদের আশঙ্কা, পাইপলাইন দিয়ে পানিহাটির গভীর নলকূপের জল কামারহাটি পুর এলাকায়
ঢুকে যাচ্ছে।
পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের চারণ চক্রবর্তী বলেন, “১০-১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে। ওয়াটার প্লান্ট থেকে জলের জোগান কমে গিয়েছে।তা ছাড়া কামারহাটির মোটা ব্যাসের পাইপে আমাদের পাম্পের জল ঢুকে যাচ্ছে। কামারহাটির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কী করা যায় দেখছি।” |
|
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আরএসপি-র পঙ্কজ দাস জানান, ‘‘সমস্যা কবলিত এলাকায় ১৫টি ছোট গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বসানো হবে।” যদিও কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের তমাল দে-র কথায়: “আমাদেরও জলসঙ্কট চলছে। তবে পানিহাটির জল এ দিকে চলে আসছে, এ রকম বিষয়টি ঠিক নয়।” |
ছবি: বিতান ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|