খেলা
ঐতিহ্যের টেবল টেনিস
বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে হয়ে গেল কাশিমবাজার টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। দ্বি-মুকুট জিতে নজর কেড়ে নিল হাওড়ার শ্রেয়সী হাজরা, চন্দননগরের অলোক সর্দার ও হুগলির অনুশ্রী দে।
পঞ্চাশের দশকে এই টুর্নামেন্টের সূচনা। বিটিটিএ-র তৎকালীন সভাপতি ছিলেন কাশিমবাজার রাজপরিবারের শ্রীশচন্দ্র নন্দী। এক সময়ে শ্যামবাজারের মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে খেলা হত। এ বার কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩৫০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে ঢাকুরিয়ার শহিদ স্মৃতি সঙ্ঘে খেলা হল।
বালিকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় হাওড়ার শ্রেয়সী হাজরা। পরে মহিলা বিভাগে হুগলির বিশ্বরূপা গুপ্তকে হারিয়ে দ্বি-মুকুট জেতে। পৌলমী ঘটকের ভক্ত, শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী অনুশীলন করে বিজলি বালক সঙ্ঘ ও হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবে।
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
বালক বিভাগের ফাইনালে জেতে চন্দননগরের অনিরুদ্ধ দে। বালকদের ক্যাডেট এবং সাব-জুনিয়রে খেতাব জিতেছে চন্দননগরের অলক সর্দার। বাবা হাওড়া স্টেশনে কুলির কাজ করেন। ভাল সরঞ্জাম কেনার সমস্যা। হুগলির অনুশ্রী দে বালিকাদের নার্সারি ও ক্যাডেট বিভাগে সেরা হয়েছে। এ ছাড়া হুগলিরই বিশ্বরূপা গুপ্ত সাব জুনিয়র বালিকা, কুশল দাস নার্সারি বালক এবং বিমল পাত্র পুরুষ বিভাগে সেরার খেতাব পেয়েছে।
বিটিটিএ কর্তা রবি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “১৫ মে শুরু হবে টেবল টেনিসের এক মাসের গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ শিবির। ১৯৮৫ থেকে এই শিবির হচ্ছে। আগামী বছর বিটিটিএ ৮০ বছর পূর্ণ করবে।” প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সৌমেন্দ্রচন্দ্র নন্দী। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.