টনি গ্রেগের পর মাইক ডেনেস। কয়েক মাসের মধ্যে ক্যানসার কেড়ে নিল আর এক প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ককে।
ডেনেসের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। কেন্ট এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেনেস ১৯৬৯-’৭৫, ছ’বছরে ২৮ টেস্ট খেলে ১৬৬৭ রান (গড় ৩৯.৬৯) করেন। সেঞ্চুরি চারটি। ১২টি ওয়ান ডে-তে তাঁর সংগ্রহ ২৬৪ রান (গড় ২৯.৩৩)।
তবে নিছক পরিসংখ্যান দিয়ে স্কটল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোধহয় বিচার করা যায় না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের একমাত্র স্কটিশ অধিনায়ক ডেনেসের আমলেই চুয়াত্তরে লর্ডসে অজিত ওয়াড়েকরের ভারতের সেই ‘সামার অব ফর্টি টু!’ ৪২ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। তার আগে একাত্তরে ঘরের মাঠে আর ’৭২-’৭৩ সিরিজে ভারতের মাটিতে ওয়াড়েকরের দলের কাছে ইংল্যান্ডের উপর্যুপরি টেস্ট সিরিজ হারের বদলা চুয়াত্তরে ডেনেসের দল নিয়েছিল ভারতকে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করে।
ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে ‘নির্মম’ সম্পর্ক ডেনেসের আইসিসি ম্যাচ রেফারি হিসেবে আরও গভীর। ২০০১-’০২ ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ম্যাচ রেফারি হিসেবে ডেনেস পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে সচিন তেন্ডুলকর-সহ সৌরভের দলের ছয় ক্রিকেটারকে এক ম্যাচ সাসপেন্ড করে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ডই সেঞ্চুরিয়নে পরের টেস্টে ডেনেসকে ম্যাচ রেফারি হিসেবে মানতে অস্বীকার করে। আইসিসি পর্যন্ত যে চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ওই ম্যাচকে বেসরকারি টেস্ট ঘোষণা করে।
রে ইলিংওয়ার্থের থেকে ডেনেসের ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব পাওয়াও বিতর্কের উর্ধ্বে ছিল না। কিন্তু শেষমেশ তাঁর খেলা ২৮ টেস্টের মধ্যে ১৯ ম্যাচেই ক্যাপ্টেন্সি করেন ডেনেস। ১৯৭৪-’৭৫ অ্যাসেজ সিরিজে অধিনায়ক ডেনেস অফ ফর্মে থাকায় সিডনি টেস্টে নিজেকে দল থেকে বাদ দিয়ে নজির গড়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচের দিন জন এডরিচ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডেনেস শেষ মুহূর্তে দলে ফিরে টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রান (১৮৮) করেন। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটাই ছিল কোনও ইংল্যান্ড অধিনায়কের সর্বোচ্চ রান। |