|
|
|
|
|
|
অপেক্ষা অনুমোদনের |
আটকে নিকাশি |
সুপ্রিয় তরফদার |
রেল অনুমতি দিচ্ছে না। তাই আটকে আছে নিকাশি নালার কাজ। এমনই অভিযোগ হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার (এইচআইটি)। ফলে জল জমার আশঙ্কায় ভুগছেন রামরাজাতলার অরবিন্দ রোড, মহিয়ারী রোড ও গভর্নমেন্ট প্রেস এলাকার বাসিন্দারা।
এইচআইটি-র মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার মৃণ্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রেলের অনুমতি না-পাওয়ায় রামরাজাতলা থেকে নয়াবাজ পর্যন্ত নর্দমা তৈরি করা যাচ্ছে না। অনুমতি বাবদ যে টাকা রেল চেয়েছিল তা প্রায় তিন বছর আগেই মেটানো হয়েছে। এখনও অনুমতি পাওয়া যায়নি।”
২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে মহিয়ারী রোড থেকে নয়াবাজ ক্রসিং-এর কাছে সাঁতরাগাছির খাল পর্যন্ত ৫৭৬ মিটার দীর্ঘ নর্দমা
তৈরির পরিকল্পনা করে এইচআইটি। জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্গত এ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ১৯ লক্ষ টাকা।
|
|
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
রামরাজাতলার জমা জল ওই খাল দিয়ে সাঁতরাগাছির খালে পড়ার কথা। মাঝ পথেই থমকে যায় কাজ। কারণ, রামরাজাতলার ডাউন লাইনের পশ্চিম দিক থেকে চ্যানেল-৯ পেরিয়ে সাঁতরাগাছির আপ লাইনের পূর্ব দিকের খাল পর্যন্ত ৯০ মিটার অংশে কাজ করতে হলে রেলের অনুমতির প্রয়োজন।
এইচআইটি সূত্রের খবর, ২৯ মার্চ ২০১০-এ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চিঠি দিয়ে অনুমতি চায় এইচআইটি। সে বছরেরই ২৮ এপ্রিল রেল এইচআইটি-কে চিঠি পাঠিয়ে ‘ওয়ে লিভ’-এর (যেখানে কাজ হবে সেখানে ট্রেন ধীরে চালানো এবং কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত দেখভালের অনুমতি) জন্য ২০০০ টাকা, গোটা প্রকল্পটির চিত্র এবং মোট খরচের হিসেব চায়। ওই বছরের ১২অগস্ট রেলের দাবি মিটিয়ে দেয় এইচআইটি।
এইচআইটি সূত্রের খবর, কেএমডিএ এবং রেলের কর্তারা কাজের জায়গাটি দেখেও গিয়েছেন। এর পরে রেল আর কোনও উত্তরই দেয়নি বলে এইচআইটির অভিযোগ। এর মধ্যে রেলকে অনেক বার চিঠি পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান মৃণ্ময়বাবু। এর ফলে দু’বছর ধরে জল জমার ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দা রাজেশ দত্তের কথায়: “বৃষ্টিতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। নোংরা জলে রাস্তা ভরে যায়। বিশেষ করে অরবিন্দ রোডের সামনে এত জল জমে যে সাইকেলে বা হেঁটে যাওয়া যায় না। জল নামতেও দেরি হয়। ”
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার। তিনি বলেন, “বিষয়টি জানতাম না। খড়গপুর শাখার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই অনুমতি মিলবে।” |
|
|
|
|
|