খেলা
জমজমাট টি-টোয়েন্টি
নৈশালোকে ক্রিকেট। রয়েছে সাইট স্ক্রিন, পানীয়ে ট্রলি, ধারাভাষ্যের ব্যবস্থা। ছিল চিয়ার লিডারও। ছোটদের এমনই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা দেখতে ব্যাঁটরা ডিসিপ্লিন ফুটবল ক্লাবের মাঠে ভিড় উপচে পড়েছিল। সম্প্রতি ব্যাঁটরা মনসাতলা বালক সঙ্ঘ ও বিডিএফসি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বারো দলের সাব জুনিয়র এই প্রতিযোগিতায় জিতল কলকাতার মেনল্যান্ড সম্বরণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। ফাইনালে তারা হারিয়ে দিল হাওড়া সম্মিলনী ক্রিকেট কোচিং সেন্টারকে। প্রতিযোগিতার সেরা হল সেন্টারের খুদে ঋত্বিক সরকার।
হাওড়া ও কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর এবং বারাসত থেকে দল এসেছিল। প্রতিযোগিতা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অমিত চৌধুরী বলেন, “ছয় বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিটি দলই সিএবি অনুমোদিত।” প্রথম সেমিফাইনালে দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে হাওড়া সম্মিলনী। অন্য দিকে, বিজয় সম্মিলনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে ২৪৫ রানে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠে মেনল্যান্ড সম্বরণ অ্যাকাডেমি। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও হাওড়া সম্মিলনীর শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই প্রথম উইকেট পড়ে। একমাত্র ঋত্বিক সরকার (৫৫) ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যানই ভাল রান পায়নি। ১২০ রানে তাদের ইনিংস শেষ হয়। জবাবে অ্যাকাডেমির ক্রিকেটাররা ১৮.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট খুইয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন।
ফাইনালে, তিনটি স্ট্যাম্প, একটি ক্যাচ এবং ৩৭ রান করে সেরা হন চ্যাম্পিয়ন দলের উইকেটরক্ষক সাগর মণ্ডল। চারটি ম্যাচে দু’টি অর্ধশত রান এবং ৯৩ রানের একটি ইনিংস খেলে সেরা ব্যাটসম্যান হয় জয়ী দলের অধিনায়ক শুভজিৎ হালদার। সেরা বোলারের পুরস্কার পায় রানার্স দলের অধিনায়ক অলরাউন্ডার রোহিত অগ্রবাল। বিডিএফসি-র আজীবন সভাপতি ছিলেন প্রয়াত ফুটবলার শৈলেন মান্না। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছিলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জীব সান্যাল প্রমুখ।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.