উঠল পাকা সেতুর দাবি
সরু সাঁকোয় প্রাণ হাতে পারাপার
খালের উপরে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এখনও তা হয়নি। তাই হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের ঘনশ্যামচক এবং উল্টো দিকের চক জনার্দন গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী বাঁশের সরু সাঁকোটিই ভরসা গ্রামবাসীদের। রোজই ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলে পারাপার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সেতুর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।
চক জনার্দন, ঘনশ্যামচক (ওস্তাজিপাড়া), অমরাগড়ি, কাঁকরোল দক্ষিণ, কলসডিহি-সহ আশপাশের গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি খাল। তার উপর রয়েছে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা সাঁকোটি। চওড়া নামমাত্র। ওই সাঁকো পেরিয়েই স্কুল, কলেজ এবং ব্লক অফিসে যাতায়াত করেন গ্রামবাসীরা। সাইকেল আরোহীরা সাইকেল মাথায় নিয়ে এবং চাষিরা ফসলের বোঝা নিয়েই এই সাঁকো পারাপার করতে বাধ্য হন। দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যে। ১৯৭৮ সালে অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে নতুন করে তৈরি হয় সাঁকোটি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহুবার পঞ্চায়েত, মহকুমাশাসক, বিডিও এবং সেচ দফতরের কর্তা-সহ প্রশাসনের নানা মহলে পাকা সেতুর দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।
জীবন হাতে নিয়ে রোজ এ ভাবেই পারাপার করেন এলাকার মানুষ। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
ঘনশ্যামচকের বাসিন্দা বাবু হক বলেন, “সাঁকোটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বাঁশগুলি পচে গিয়েছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” অমরাগড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের তাপস দলুই বলেন, “সাঁকোটির জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”
কী বলছে প্রশাসন?
উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক সুজয় আচার্য বলেন, ‘‘সাঁকোটির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
আমতা-২ নম্বর ব্লকের বিডিও ইন্দ্রকুমার নস্কর অবশ্য বিষয়টি জানেন। তিনি বলেন, “পাকা সেতু করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে জেলা স্তরে যেমন কাঠের সেতু হয়, সে রকম করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
আমতা ব্লকের সেচ দফতরের আধিকারিক স্বপন দত্তের আশ্বাস, ‘‘কাঠের সেতু করে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।”
গ্রামবাসীরা চান, দ্রুত আলোচনা মিটুক। তৈরি হোক সেতু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.