খিচুড়ি রান্না করে শিশু ও প্রসূতিদের দেওয়া শুরু হয়েছিল। হঠাৎ খিচুড়ির মধ্যে একটি কাপড়ের টুকরো দেখে চমকে ওঠেন অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে সেই খাবার বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মী-সহায়িকারা জানান, বরাদ্দ চাল-ডাল পোকায় কাটছে দেখে তাঁরা একটি কীটনাশকের ট্যাবলেট চার টুকরো করে কাগজ ও কপড়ে জড়িয়ে ওই চাল ও ডালের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। রান্না করার আগে তা বের করতে ভুলে যান। স্বভাবতই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন মাড়গ্রাম থানার কালীদহ গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য।
রামপুরহাট ২ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক ওই কেন্দ্রের কর্মী-সহায়িকাদের তাঁর দফতরে ডাকেন। তাঁরা ভুল স্বীকারও করে নিয়েছেন। পরে প্রকল্প আধিকারিক শান্তিকুমার বাগদির নির্দেশে প্রকল্পের সুপারভাইজার মজুত চাল-ডাল ফেরত চেয়ে পাঠান। আধিকারিক বলেন, “শিশু খাদ্যে কীটনাশক দিয়ে কর্মীরা মারাত্মক অপরাধ করেছেন। মহকুমাশাসকের নির্দেশে ওই মজুত রাখা চাল-ডাল ফেরত নেওয়ার জন্য সুপারভাইজারকে বলা হয়েছে।”
এই কেন্দ্রের উপরে শিশু ও মা মিলিয়ে মোট ৭৩ জন নির্ভরশীল। শুক্রবার ৭২ জনের জন্য রান্না হয়েছিল। সহায়িকা সায়রা বানু বিবি বলেন, “ডালের মধ্যে পোকা নেই দেখে বাছাই না করে ধুয়ে রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু রান্না করার পরে খাবার বিলি করতে গিয়ে কাপড়ের টুকরো দেখতে পাই। সঙ্গে খাবার ফেলে দেওয়া হয়। ধোয়ার সময়ে বুঝতে পারলে কি আর রান্না করতাম। ভুল হয়ে গিয়েছে।” তাঁর কথায়, “বাড়িতে মজুত চাল-ডালে পোকা তাড়াতে তো কীটনাশক দেওয়া হয়। তাই এক্ষেত্রেও দিন পনেরো আগে কীটনাশকের ট্যাবলেট দিয়েছিলাম। ভুল হয়ে গিয়েছে। আর দেব না।”
প্রকল্প আধিকারিক বলেন, “পোকায় কাটা চাল ফেরত নেওয়া হয়। দু’মাস অন্তর চাল-ডাল ফেরত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।” রামপুরহাট ২ ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিডিও মলয় ঘোষ বলেন, “খবর পেয়ে তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল। ওই খাবার কেউ খায়নি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।” |