বোলপুরের পরে ইলামবাজার। ফের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে এক ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বোলপুরের লটারি ব্যবসায়ী অমূল্যরতন লাহা। জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে এক লটারি ব্যবসায়ীর ১২ লক্ষ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমূল্যবাবু বৃহস্পতিবারও আসানসোল থেকে লটারি বিক্রির টাকা নিয়ে একটি চারচাকা গাড়িতে বোলপুরে ফিরছিলেন। পথে পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কে, ইলামবাজার সেতু ওঠার মুখে দুই বাইক আরোহী তাঁর গাড়ির পথ আগলায়। কিছু বোঝার আগেই অন্য দুই বাইক আরোহী গাড়ির চালক বিমল চন্দ্রের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। ঘটনায় হতচকিত হয়ে গেলে দুষ্কৃতীরা অমূল্যবাবুর সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেয়। গত বুধবারই একই জায়গায় বুদবুদের এক ব্যবসায়ীর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়েছিল। অন্য দিকে সম্প্রতি বোলপুর-নানুর রাস্তায় মোহনপুর মাঠের কাছে ঠিক একই কায়দায় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতী। বারবার একই কায়দায়, জেলার নানা প্রান্তে ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী, অবিলম্বে পথ চলতি মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
|
দীর্ঘদিন ধরে জেলার কোনও ডাকঘরেই পোস্টকার্ড মিলছে না। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষজন। যদিও মোবাইল ফোনের যুগে যোগাযোগ করাটা অনেক সুবিধাজনক হয়ে গেলেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পোস্টকার্ডের প্রয়োজন যে রয়েছে সে কাথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলার বিভিন্ন ডাকঘরের পোস্টমাস্টাররা। আমোদপুরের তপন সেন নিয়ম করে বহু বছর ধরে বাংলা নববর্ষ ও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান পোস্টকার্ডের মাধ্যমে। তিনি বললেন, “এ বার পোস্টকার্ড না থাকায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়নি।” শ্রীনিকেতনের সুরুল গ্রামের বাসিন্দা তথা লিটল ম্যাগাজিনের কর্মী চারুচন্দ্র রায়ের কথায়, “লেখা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন জনের কাছে আবেদন জানাই। বর্তমানে পোস্টকার্ডের অভাবে সেটা করা যাচ্ছে না।” সিউড়ির পোস্টমাস্টার আনন্দগোপাল গড়াইয়ের দাবি, “দিন কুড়ি পোস্টকার্ড পাওয়া যাচ্ছে না। সব মহলেই জানানো হয়েছে।”
|
পড়শিকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম, মরাই অধিকারী। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়ার কুরুমসা গ্রামে। গত ১১ এপ্রিল আমোদপুর এলাকার কুসুমডিহি গ্রামের বাইরে একটি মাঠ থেকে সুনীল বালা (৪২) নামে কুরুমসা গ্রামেরই এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি আগের দিন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, সুনীলবাবুকে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে সুনীলবাবুূরই প্রতিবেশী মরাই অধিকারীকে বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ধৃতকে আজ, শনিবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হবে। |