তিন মাস আগে স্কুলে মনোনয়ন জমার সময়ে উপস্থিত ছিলেন ছয় অফিসার-সহ ৫৭ জন পুলিশকর্মী। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পুলিশ নেই দাবি করে মনোনয়নপত্র নিতে চাননি কেতুগ্রামের পালটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃপাসিন্ধু সাহা। কিন্তু বৃহস্পতিবার কোনও পুলিশি ব্যবস্থা ছাড়াই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা নিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এমন অভিযোগ তুলে কাটোয়ার মহকুমাশাসককে ওই স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলে আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। মহকুমাশাসক আর অর্জুন স্কুল পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সিপিএমের অভিযোগ, গত ২০ ডিসেম্বর তাদের সমর্থিত ছয় প্রার্থী ওই স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে যান। পর্যাপ্ত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন জমা নিতে চাননি। তিনি লিখিত ভাবে জানান, শীঘ্রই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সিপিএমের কেতুগ্রাম ১ উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক আনসারুল হকের অভিযোগ, “ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাস বাড়ে। সিপিএম নেতারা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন। সেই সুযোগে প্রধান শিক্ষক অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। তিন মাস পরে নির্বাচন প্রক্রিয়া হল, পুলিশ ছাড়াই!” মহকুমাশাসককে আনসারুল হক লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত স্কুল চত্বরে বোমাবাজি হয়। তৃণমূল বহিরাগত সমাজবিরোধীদের সেখানে জড়ো করেছিল।
প্রধান শিক্ষক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। এক পক্ষই ৬টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।” তবে পুলিশ ছাড়াই মনোনয়ন জমা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি। তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র দাবি, “আমরা ওই স্কুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি। কাটোয়ায় বসে সিপিএম নেতারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” |