হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আগে সুপ্রিম কোর্টও এই মর্মে রায় দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজের পক্ষে হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী সমরাদিত্য পাল ও আইনজীবী এস এস কপূর। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের সরকারি অনুমোদন বাতিল করা হয়। তার পরেই পর্যায়ক্রমে অনুমোদন বাতিল করে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কাউন্সিল। কলেজ-কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে মামলা করেন। রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের জারি করা বিজ্ঞপ্তি খারিজ করেন বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত। মেডিক্যাল কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় আপিল মামলা করে। বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশোনা চালাতে না-পারেন, পরীক্ষা দিতে না-পারেন, তা নিয়েও মামলা হয়। একসঙ্গে সব মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
নতুন মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে প্রতি বছর মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন নিতে হয়। এ-রকম চলে পাঁচ বছর। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন মেডিক্যাল কাউন্সিলকে জানাতে বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে তারা কী ভাবছে। আইনজীবী এস এস কপূর বলেন, পরিকাঠামো ও অন্য ব্যবস্থা দেখেই কাউন্সিল অনুমোদন দিয়েছিল। পরে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে মেডিক্যাল কাউন্সিল অনুমোদন বাতিল করে। তাদের যুক্তি ছিল, একই কলেজের কিছুটা অংশে যে ডেন্টাল কলেজ চলছে, সেই তথ্য তাদের কাছে গোপন করা হয়েছে।
প্রায় একই সময়ে রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমোদন খারিজ করার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী মেডিক্যাল কাউন্সিলের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, বিভিন্ন রাজ্যে যে-সব অনুমোদনহীন মেডিক্যাল কলেজ চলছে, তা নিয়ে কাউন্সিল
কী করছে?
কাউন্সিলের আইনজীবী সদুত্তর দিতে পারেননি। রাজ্যের পক্ষ থেকে সওয়াল করতে চাওয়া হয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্যের অবকাশ নেই। অনুমোদন দেবে মেডিক্যাল কাউন্সিল, পঠনপাঠন চালাবেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ। ফের শুনানি হবে দু’সপ্তাহ পরে। |