এডিডিএ-র জলাধার থেকে জল পৌঁছচ্ছে না হাসপাতালের জলাধারে। তাই জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বাইরে থেকে জল কিনতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজও। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে জল সরবরাহ করে এডিডিএ। এডিডিএ-র একটি বড় জলাধার থেকে জল আসে হাসপাতালের জলাধারে। সেখান থেকে ২৮টি ছোট ট্যাঙ্কে জল তুলে রাখা হয়। গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লক্ষ করেন, ওই ট্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত জল উঠছে না। তাতেই সমস্যায় পড়ছেন রোগী, তাঁদের পরিজন এবং হাসপাতালের কর্মীরা। গত দু’দিনে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। বিষয়টি তাঁরা এডিডিএ-কে জানান।
এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বাস্তুকারেরা ইতিমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে এক দফা পরিদর্শন করে এসেছেন। এডিডিএ-র জলাধার ও হাসপাতালের জলাধারের মধ্যে পাইপলাইনে ভাল্ভ বিকল হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের প্রাথমিক অনুমান। হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, “এডিডিএ আপাতত অতিরিক্ত সময় পাম্প চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। তাতেই কোনও রকমে চালাতে হচ্ছে।”
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর পরিজনদের অনেকেই বাইরে থেকে জল কিনে আনছেন। অনেকে রোগীর জামাকাপড়ও বাইরে থেকে কাচিয়ে নিয়ে আসছেন। তাঁরা জানান, জামাকাপড় কাচার জন্য কোথাও কুড়ি টাকা, কোথাও তিরিশ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে জল কিনে আনতে হচ্ছে। অথচ হাসপাতালেই নিখরচায় এই পরিষেবা পাওয়ার কথা। রোগীর পরিজন শবনম বেগম, বুলু বাদ্যকরদের কথায়, “খাওয়ার জল কিনতে হচ্ছে। জামাকাপড় কাচার জলের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে। হাসপাতালে যথেষ্ট জলের জোগান নেই।” ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের সাফাইও। হাসপাতালের কর্মী হেলা বাউড়ি বলেন, “যথেষ্ট জল নেই। ভাল করে ধোওয়া-মোছা ও জামাকাপড় কাচার কাজ করা যাচ্ছে না।” হাসপাতালের চিকিৎসক তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ-সভাপতি মিহির নন্দীরও বক্তব্য, “গত কয়েক দিন ধরে পর্যাপ্ত জল না থাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভুগতে হচ্ছে সবাইকে।” এডিডিএ-র চেয়ারম্যান, পেশায় চিকিৎসক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালে জলের সমস্যার কথা জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |