|
|
|
|
সাফল্যের খতিয়ানে অসঙ্গতি, ক্ষোভ |
সুব্রত গুহ • কাঁথি |
নেই পুকুর। অথচ নাম উঠেছে পুকুর সংস্কারে। মারা গিয়েছেন কবে। নাম উঠেছে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাঁথির দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে যে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন, তাতে রয়েছে এমনই নানা অসঙ্গতি।
বেলদার অশোক পণ্ডার নিজস্ব কোনও পুকুর নেই। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতের তাঁর পুকুর সংস্কার করা হয়েছে বলে ফ্লেক্স-এ উল্লেখ করেছেন বেলদা গ্রামসভার তৃণমূল সদস্য রামকৃষ্ণ পাল। গৃহনির্মাণ প্রকল্পে নাম আছে গোষ্ঠবিহারী বারিক, শশধর সিংহ ও অভিমন্যু মাইতির। কিন্তু তাঁরা ওই প্রকল্পে কোনও টাকাই পাননি বলে অভিযোগ। বেলদা গ্রামের বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক পণ্ডার অভিযোগ, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে এসেছেন রামকৃষ্ণবাবু। |
|
এই ফ্লেক্স নিয়ে বিতর্ক। ছবি: সুব্রত গুহ। |
এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে তালিকায় আমার নাম প্রকাশ করে পঞ্চায়েতের কাজে বামপন্থীরাও সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন বলে অসত্য প্রচার করে নিজের মহিমা প্রকাশ করতে চাইছেন।” গৃহনির্মাণ প্রকল্পে উপভোক্তা হিসাবে নাম বের হওয়ায় ক্ষুব্ধ শশধর সিংহ, গোষ্ঠবিহারী বারিক, অভিমন্যু মাইতিরা। তাঁদের অভিযোগ, “গৃহনির্মাণে একটি টাকাও পঞ্চায়েত থেকে না পাওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে তালিকায় নাম প্রকাশ হল!” গ্রামসভার তৃণমূল সদস্য রামকৃষ্ণ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হিম্মত আছে বলেই তালিকা প্রকাশ করেছি। কোনও ভুয়ো নাম তালিকায় নেই। অশোক পণ্ডার নাম তাঁর বাবার নামের বদলে ভুল করে ছাপা হয়েছে।” দুরমুঠ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান স্বপন মাইতি বলেন, “ভুল হতেই পারে। উনি সংশোধন করে নেবেন।” |
|
|
|
|
|