|
|
|
|
সংযোগ নেই, ভিডিও সম্মেলন বন্ধ ব্লক অফিসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেনারেটর রয়েছে। রয়েছে ভিডিও সম্মেলনের যাবতীয় সরঞ্জামও। অথচ জেনারেটরের সঙ্গে সংযোগ না থাকায় সবং ব্লক অফিস থেকে ভিডিও সম্মেলন করা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসন বা রাজ্য স্তরের আধিকারিকেরা নানা বিষয়ে ভিডিও সম্মেলন করে ব্লক স্তরে নির্দেশ পাঠান। মন্ত্রীরাও ভিডিও সম্মেলনে নানা নির্দেশিকা দেন। এ জন্যই ব্লক অফিসগুলিতে ভিডিও সম্মেলনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সবং ব্লক অফিসে সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে, ভিডিও সম্মেলন হলে বিডিও-কে যেতে হচ্ছে পাশের পিংলা বা ডেবরা ব্লক অফিসে। যাতায়াতে ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায়। ফলে, যে দিন ভিডিও সম্মেলন থাকে, সে দিন নানা কাজে আসা মানুষজনকে দীর্ঘক্ষণ বিডিও-র জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
এখন প্রশ্ন সরকারি অর্থ ব্যয় করে জেনারেটর বসিয়েও কেবলমাত্র সংযোগের অভাবে কেন এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে?
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। প্রায় দু’বছর হতে চলল তারা সব সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দিলেও জেনারেটরের সংযোগ দেয়নি। এ প্রসঙ্গে বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাজের বরাতপ্রাপ্ত ওই সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেখি ওরা কী করে। তারপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
আগে প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য জেলার আধিকারিকদের প্রায়ই কলকাতায় যেতে হত। ব্লকের আধিকারিকদের যেতে হত জেলা সদর বা মহকুমাশাসকের দফতরে। এখনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু আপাত সাধারণ বিষয়গুলি নিয়ে ভিডিও সম্মেলনে আলোচনা হয়। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের অগ্রগতি, গরিবদের বাড়ি তৈরির কাজ কতটা এগোল, মাওবাদী এলাকায় আইএপি-র কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে কিনা ভিডিও সম্মেলনেই আলোচনা হয়। মন্ত্রী বা সচিবরাও ভিডিও সম্মেলন করেন। এ জন্য রাজ্য থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ‘স্টেট ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক’ বা ‘সোয়ান’। সবং ব্লকও তার আওতাধীন। কিন্তু শুধু জেনারেটর সংযোগের মতো একটা অতি সামান্য কারণেই তা চালু করা যাচ্ছে না। |
|
|
|
|
|