প্রকৃত বনাধিকার চান আদিবাসীরা
ঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বনাধিকার আইন’ কার্যকর করতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের ‘আদিবাসী-বনবাসী অধিকার মঞ্চ’-সহ ১০টি সংগঠন।
দেশের অরণ্যের উপর অরণ্যবাসী মানুষের অধিকার সংক্রান্ত আইন ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের বনাঞ্চলে আজ পর্যন্ত ওই আইন কার্যকর করেনি বলে অভিযোগ করেছেন ‘আদিবাসী-বনবাসী অধিকার মঞ্চে’র নেতা নব দত্ত। কলকাতায় বৃহস্পতিবার একটি কনভেনশনে ওই সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়, ‘বনাধিকার আইন ২০০৬’ অনুযায়ী বন পরিচালনায় বনবাসীদের নিয়ে গড়া গ্রামসভার মুখ্য ভূমিকা মেনে নিতে হবে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত বনবস্তির ‘রাজস্ব গ্রামে’ রূপান্তর ও সুন্দরবনে বনাধিকার আইন চালু করতে হবে। জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের সর্বত্র বনের উপরে নির্ভরশীল মানুষের জমির অধিকার মানতে হবে। বনাধিকার আইন কার্যকর করতে কোথাও আদিবাসী-অনাদিবাসী ভেদাভেদ করা চলবে না বলেও বিভিন্ন বক্তা দাবি করেন।
কনভেনশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে প্রার্থী ‘বনাধিকার আইন ২০০৬’ কার্যকর করার প্রতিশ্রূতি দেবেন, তাঁকেই রাজ্যের বনবাসী-আদিবাসীরা ভোট দেবেন। মঞ্চের অন্যতম নেতা সৌমিত্র ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে বনাধিকার আইন কার্যকর করা এবং গ্রামসভা গঠনের দাবিতে প্রচার-আন্দোলন শুরু করা হবে। ‘আদিবাসী-বনবাসী অধিকার মঞ্চ’ ছাড়াও ৯টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা কনভেনশনে হাজির ছিলেন।
উত্তরবঙ্গ বন জন শ্রমজীবী মঞ্চের আহ্বায়ক লাল সিং ভুজেল জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের শ্লোগান হবে, ‘জনগণের বনে জনগণের সরকার— গ্রামসভা গড়ে তুলুন।’ বনাধিকার আইনে বলা রয়েছে, বন পরিচালনার প্রয়োজনে, গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতের সাহায্যে গ্রামসভা বানিয়ে তার মাধ্যমে বন ও বন্যপ্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। বনবাসীরা কৃষি ও বাস্তুজমির উপরে মালিকানার অধিকার পাবেন। বনাধিকার আইনে বনবস্তিকে খাসজমিতে রূপান্তরিত করে ‘রাজস্ব গ্রাম’ তৈরির কথা বলা থাকলেও তা কোথাও কার্যকর করা হয়নি বলে সৌমিত্রবাবুর। তাঁর কথায়, “গ্রাম সংসদের সঙ্গে গ্রামসভাকে গুলিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। বনাঞ্চলে গ্রামসভা গড়তে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।”
সুন্দরবনের ৫৪টি দ্বীপে প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষের বাস। সেখানে পূর্ববর্তী বা বর্তমান সরকার কেউই বনাধিকার আইন প্রয়োগ তো করেইনি। এমনকী বাম আমলে সুন্দরবন-সহ রাজ্যের বনাঞ্চলগুলিতে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন সুন্দরবন জন শ্রমজীবী মঞ্চের প্রতিনিধি পবিত্র মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, “বিগত সরকারের আমলে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বন-নির্ভর মানুষকে আইনের আওতায় আনাই হয়নি। এখনও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নামে বন বভাগের একচ্ছত্র শাসন আগের মতই বলবত্‌ রয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.