|
|
|
|
বটানিক্যালে মাছের মৃত্যু |
যত্নের অভাবই দায়ী, রিপোর্ট দিল পর্ষদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, অন্য দিকে বাগানের পাঁচিলে গর্ত করে লাগোয়া রাজ্য সরকারি আবাসনের বর্জ্য খালে ফেলা ও খাল থেকে তা ঝিলে মিশে বিষাক্ত হয়ে ওঠা মূলত এই দু’টি কারণে সব মাছ মরে যায় বটানিক্যালের সাদির লেকে। আশপাশের কারখানার বর্জ্য থেকে সংক্রমণের কারণে নয়। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই জানাল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
গত ২৮ মার্চ ওই ঘটনার পরে বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তারই প্রেক্ষিতে আদালত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে বটানিক্যালের লেকগুলির জল পরীক্ষা করতে ও মাছ মরার কারণ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়। |
|
আগে বটানিক্যাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিলেন, বাগানের পাশে একটি কারখানা থেকে দূষিত বর্জ্য এসে ঝিলের জলে মেশার কারণেই মাছ মরে গিয়েছে। ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেন তাঁরা। কিন্তু আদালতের নির্দেশে গত ৯ ও ১০ তারিখ দু’দফায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সাদির লেকে মাছ মরার কারণ অনুসন্ধান করে আদালতকে যে রির্পোট দিয়েছেন, তাতে প্রথমেই গার্ডেন কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাছ মরে যাওয়ার প্রধান কারণগুলি হল প্রথমত, গার্ডেনের খাল ও ঝিলগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং পলি না তোলা। দ্বিতীয়ত, বাগানের চারপাশ ঘিরে থাকা কাঁচা খাল দিয়ে দিনে দু’বার গঙ্গার জোয়ারের পরিষ্কার জল ঢুকতে না পারা এবং তৃতীয়ত, বাগানের পাঁচিলে গর্ত করে লাগোয়া সরকারি আবাসনের প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য কাঁচা খালে ফেলায় খালবাহিত হয়ে ঝিলের জলে মেশা।
কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেন পর্ষদের কৌঁসুলি এন সি বিহানি। বটানিক্যালের খাল ও ঝিলের জল কী ভাবে দূষিত হচ্ছে, তার ছবি-সহ ৬ পাতার ওই রিপোর্টে পর্ষদ জানিয়েছে, শুধু সাদির লেকে মাছ মরার কারণ অনুসন্ধান নয়, ঝিলের জলের নমুনা নিয়েও পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম এবং জলে ক্ষতিকারক কলিফর্মের মাত্রাও অস্বাভাবিক ভাবে বেশি।
বটানিক্যালে জলের দূষণ রোধ করতে পর্ষদের রিপোর্টে অবিলম্বে বাগানের সীমানা পাঁচিলের সমস্ত গর্ত বুজিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি আবাসনের জল বেরোবার জন্য হাওড়া পুরসভাকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঝিল ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে এবং ২৪টি ঝিলে নিয়মিত গঙ্গার জোয়ার-ভাটার জল ঢোকার ব্যবস্থা করতেও পরামর্শ দিয়েছে পর্ষদ।
|
পুরনো খবর: বটানিক্যালে ফের মরা মাছের মিছিল |
|
|
|
|
|