আত্মসমর্পণ করার জন্য বুধবারই সঞ্জয় দত্তকে আরও চার সপ্তাহ অতিরিক্ত সময়সীমা দিয়েছিল আদালত। তার ঠিক এক দিন পরেই একই সময়সীমা পেলেন ’৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম আসামি জেবউন্নিসা।
এর আগেও অবশ্য আদালতের কাছে কিছু বাড়তি সময় চেয়েছিলেন জেবউন্নিসা। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সাজা স্থগিত রাখা হোক। জেবউন্নিসার পাশাপাশি একই আবেদন জানিয়েছিলেন মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আরও দুই আসামি ঈশাক মহম্মদ হাজওয়ানে এবং শরিফ আব্দুল গফ্ফরও। সেই সময়ে তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। মানবিকতার খাতিরে বুধবার সঞ্জয় দত্তকে আত্মসমর্পণের জন্য চার সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করার পরই আজ ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জেবউন্নিসার মেয়ে শগুফতা কাজি। মা ক্যানসারে আক্রান্ত, তাই আত্মসমর্পণ করার সময়সীমা বাড়াতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান শগুফতা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই আবেদন মঞ্জুর হল। জেবউন্নিসা ছাড়াও আজ সঞ্জয়ের বন্ধু ইউসুফ মোহসিন নুলওয়াল্লা, আলতাফ আলি সৈয়দ এবং এষা মেমন-সহ মোট ছ’জনকে আত্মসমর্পণ করার জন্য অতিরিক্ত সময়সীমা মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সঞ্জয়-সহ এঁদের প্রত্যেককেই ১৬ মে তারিখের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, এর পর আবেদন করলেও আত্মসমর্পণ করার সময়সীমা বাড়ানো হবে না।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে অনেকেরই অভিযোগ, বিচারে পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। সঞ্জয় অভিনেতা বলে কম সাজা পেয়েছেন। বাকিদের অপরাধ তেমন গুরুতর কিছু না হলেও সাজার মেয়াদ সঞ্জয় দত্তের চেয়ে বেশি। মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার আসামিদের আত্মসমর্পণ করার আজই ছিল শেষ দিন। আজ টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রায় ২৫ জন। গত কাল আত্মসমর্পণ করেছিলেন ১১ জন। এঁদের প্রত্যেকেরই সাজার মেয়াদ ৫ থেকে দশ বছর পর্যন্ত।
যে ২৫ জন আজ আত্মসমর্পণ করলেন তাঁদের আপাতত আর্থার জেলে রাখার নির্দেশ দেন বিশেষ টাডা আদালতের বিচারক জি এ সনপ। এর পরে মুম্বইয়ের নানা এলাকার কারাগারে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, শনিবার পর্যন্ত যাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
আইনজীবীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে অনেকটাই নরম হয়েছে শীর্ষ আদালত।
|