প্রাপ্য বকেয়া না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এক সমবায় সমিতির সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের স্টেট ডেয়ারিতে কর্মী সমবায় সমিতির কর্তাদের ঘিরে এই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সমবায় সমিতির সভাপতি শিবনাথ পোদ্দার জানান, বিগত ১০-১২ বছর ধরে সমবায় লোকসানে চলছে। তাই সদস্যদের ডিভিডেন্ড দেওয়া যাচ্ছে না।
১৯৭৫ সালে এই দুর্গাপুর স্টেট ডেয়ারি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড গড়ে ওঠে। একসময় এই ডেয়ারি থেকে দৈনিক প্রায় হাজার লিটার দুধ পাঠানো হত বিভিন্ন হাসপাতালে। সদস্য ছিল ২১৬ জন। তবে ২০১১ সালের মে মাসে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সদস্য সংখ্যাও নেমে এসেছে ১০৯ জনে। সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদস্যরা প্রয়োজনে সমবায়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতেন। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিভিডেন্ড দেওয়া হতো তাঁদের। |
দুর্গাপুর স্টেট ডেয়ারিতে ঘেরাও। —নিজস্ব চিত্র। |
সদস্যদের অভিযোগ, বছর চারেক আগে থেকে ঋণ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ডিভিডেন্ডও দেওয়া হয়নি বেশ কিছু দিন। সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে নতুন পরিচালন সমিতি দায়িত্ব নেয়। সমবায়ের বর্তমান সভাপতি শিবনাথবাবুর অভিযোগ, আগের সমিতি হিসাবপত্র সব আগলে রাখত। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাঁদের হিসাবপত্র সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, সমবায়টি লোকসানে চলছে। এরপরেই সদস্যদের ঋণ ও ডিভিডেন্ড দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমবায়ের চেয়ারম্যান সন্দীপ মণ্ডল জানান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সামান্য বেশি সুদে তাঁরা সদস্যদের ঋণ দিতেন। বর্তমানে সমবায়ের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। অথচ ব্যাঙ্ককে নিয়মিত সুদ দিতে হচ্ছে। ফলে আর্থিক দুরাবস্থায় ভুগছে সমবায়। সন্দীপবাবু বলেন, “এই অবস্থায় সদস্যদের ডিভিডেন্ড দেওয়া কার্যত অসম্ভব।” বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কথাবার্তা চলাকালীন সদস্যদের ঘেরাও করা হয় বলে জানান তিনি। পুলিশ গিয়ে ঘেরাও তোলে। |