দিল্লিতে অমিত মিত্র নিগৃহীত হওয়ার পরেই রাস্তায় রানিগঞ্জের সিপিএম পুরপ্রধানকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এক সপ্তাহ পরে, বৃহস্পতিবার পুরসভায় এলেও অনুপস্থিতির জন্য জবাবদিহি চেয়ে পুরপ্রধান অনুপ মিত্রকে ঢুকতে দিল না তৃণমূল। তোলা হল বহু দুর্নীতির অভিযোগও। আজ, শুক্রবার রানিগঞ্জ থানায় দু’পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা।
অনুপবাবুর অভিযোগ, গত ৯ এপ্রিল দিল্লির ঘটনার পরেই সন্ধ্যায় তৃণমূলের কিছু লোকজন তাঁকে রাস্তায় আটকে মারধর করে। তাঁর দাবি, “চিকিত্সা চলায় সপ্তাহখানেক আমি পুরভবনে যাইনি।” তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার পরের দিন বিনা বিজ্ঞপ্তিতে পুরভবন বন্ধ রাখা হয়। তার পরে পুরসভা খুললেও অনুপবাবু আসেননি। তাতে মানুষজন সমস্যায় পড়েন। এর জবাবদিহি চেয়ে এবং পুরসভার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগে প্রতি দিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, অভিযোগগুলির জবাব না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনুপবাবুকে ঢুকতে দেবেন না। |
পুরপ্রধানকে ঢুকতে না দিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ রানিগঞ্জ পুরসভায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওমপ্রকাশ সিংহের তোলা ছবি। |
অনুপবাবুর দাবি, তৃণমূলের এই ‘হুমকি’র কথা তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় সকাল ১১টা নাগাদ তিনি পুরভবনে যান। কিন্তু বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সদর দরজা আটকান। পুরপ্রধানের অভিযোগ, “পুলিশ থাকলেও তারা আমায় ঢুকতে সাহায্য করেনি। দীর্ঘ ক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করি।” ঘণ্টা তিনেক বাইরে অপেক্ষার পরে তিনি ফিরে যান। পরে একটি নার্সিংহোমেও ভর্তি হন তিনি।
তৃণমূলের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি সেনাপতি মণ্ডলের বক্তব্য, “আমাদের অভিযোগের জবাব পাওয়ার আগে পুরপ্রধানকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তা পুরসভাকে আগেই জানিয়েছিলাম। অন্য কোথাও বৈঠকে বসার প্রস্তাব তখন ওঁরা মানেননি। আমরা দাবিতে অনড় থাকায় এ দিন তাতেই রাজি হন।” আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ জানান, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করেছে। |