বাস্তুভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় এক বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মানিকচকের ধনরাজ গ্রামের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়ায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা সাবতি মহলদার বুধবার মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত হামলাকারীদের শীঘ্র ধরতে মানিকচক থানাকে বলা হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের ধনরাজ গ্রামে সাবতি দেবী ছেলে প্রভাসকে নিয়ে বসবাস করেন। বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক তাঁদের ভিটে দখলের চেষ্টা করেছিল। তাঁরা বাধা দেন। তিনি বলেন, “ওই রাগে ১৩ এপ্রিল দুপুরে তৃণমূল সমর্থকরা বাড়িতে চড়াও হয়ে আমাকে ও ছেলেকে মারধর করে। একদিন পরে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।” ঘটনার পরে বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করানো হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরে বুধবার বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে নিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। ওই বৃদ্ধার ছেলে প্রভাস মহলদার বলেন, “আমাকে ও মাকে মারধর করেছে। হুমকি দিচ্ছে।” যদিও দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ শুনে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “যারা ওই বৃদ্ধাকে মেরেছে তারা কেউ আমাদের দলের নয়। আমাদের দলের নাম করে কিছু দুষ্কৃতী গ্রামেগঞ্জে গোলমাল পাকাচ্ছে। পুলিশ সুপারকে বলেছি যারা ওই কাজ করছে তাদের ছাড়বেন না।”
পুলিশ সুপার নির্দেশের পর ব্যবস্থা নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে কেন কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনার এত পরে নড়েচড়ে বসেছে? কেন ওই সময় এটাকে ‘সামান্য একটা ঘটনা’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? যদিও ওই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি মানিকচক থানার ওসি পরিমল সাহার কাছে। |