সকালে হাসপাতালে ভর্তি বিচারাধীন বন্দির অসুস্থতার খবর দুপুরের মধ্যেই পরিবারের কাছে পুলিশের মাধ্যমে পাঠানোর কথা জেল কর্তৃপক্ষের। এর জন্য প্রয়োজনীয় রেডিওগ্রামের সময় বা নথির কথা সঠিকভাবে ইসলামপুর জেল কর্তৃপক্ষ জানাতে পারছেন না। হাসপাতালের এক বিচারধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এমনই রহস্য দেখা দেওয়ায় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বুধবার ইসলামপুর মহকুমাশাসকের দফতরে কমিশনের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। সেখানে ঘটনার তদন্ত করে ১ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, “মহকুমাশাসকের দায়িত্বে ছিলেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তদন্ত করে কমিশনে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট পাঠানো হবে।” মানবাধিকার কমিশনের কাছে তদন্ত চেয়েছিল সিপিএমও। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা ইসলামপুরের সিপিএম নেতা সুবীর বিশ্বাস বলেন, “এ দিন তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে শুনেছি। আইনে আস্থা রয়েছে। আশা করব, সত্য ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”
গত রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর হাসপাতালে মৃ্ত্যু হয় বিচারাধীন বন্দি চোপড়ার মুজিবর রহমানের (৬০)। বুকে ব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। জমি সংক্রান্ত গোলমালের জেরে তিনি ২৪ মার্চ থেকে জেলবন্দি ছিলেন। সঠিক সময়ে তাঁর পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়নি বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসলামপুর হাসপাতালে অসুস্থকে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর রেডিওগ্রাম করে পুলিশকে জানানো হয় দুপুর আড়াইটার মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষ যে সময় দাবি করছেন, সে সময় পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তিকে পাহারার জন্য লোকের আবেদন করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক প্রভাতবাবুও রেডিও গ্রামে সই করেননি বলে জানান। তিনি বলেছেন, “ওই বন্দির মারা যাওয়ারও খবর পাই রাত ৮টা নাগাদ ইসলামপুর এসডিপিওর কাছ থেকে। পরের দিন জেলের কর্মীরা রেডিওগ্রাম এনেছিলেন আমাকে সই করাতে। তাতে আমি সই করিনি।” |