নালা তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার সদরের বিভিন্ন এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যয়ের অভিযোগ উঠেছে। সামান্য বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে বাসিন্দাদের। দোকানে জল ঢুকছে। মঙ্গলবার রাতে টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টিতে চৌরাস্তা এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। নিকাশি নালা তৈরির কাজ শেষ করা না হলে এ বার বর্ষায় এলাকা ভাসবে এমনটাই আশঙ্কা বাসিন্দাদের। দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে নানা রাজনৈতিক দল।
জেলা তৃণমূল সভাপতি ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, “গত তিন দশকে ইটাহার সদরে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। সম্প্রতি, আমার বিধায়ক তহবিলের টাকায় কিছু এলাকায় নালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হবে।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল বলেন, “বামেদের আমলে সরকারি উদ্যোগে ইটাহার সদর এলাকায় নিকাশি নালা তৈরির কাজ শুরু হয়। পালা বদলের পরে কাজ আটকে যায়। বর্ষার আগে কাজ শেষ করা হলে আন্দোলনে নামব।” একই হুমকি দিয়েছেন ব্লক কংগ্রেসের আহ্বায়ক হবিবুর রহমান।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম সরকারের সময় পোরসা উত্তরপাড়া থেকে চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা একটি নিকাশিনালা তৈরির জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ৫০০ মিটার নালা তৈরির পরে কাজ বন্ধ হয়। নালাটি কোথায় শেষ হবে সেটা ঠিক না হওয়ায় কাজ বন্ধ হয় । বর্তমানে নালাটি আবর্জনার স্তুপে ভরেছে। কয়েক মাস আগে অমলবাবুর বিধায়ক তহবিলের ১০ লক্ষ টাকায় চৌরাস্তা এলাকায় ৫০০ মিটার লম্বা নালা তৈরি হলেও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, নালা অপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টির জমা জল বেরোচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে সদরে সাহাপাড়া, হাটখোলা, পোরসা, থানারোড কিংবা কলেজ রোড ও চৌরাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ইটাহার সদরের ব্যবসায়ী সুশান্ত সাহা বলেন, “সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে। দোকানে জল ঢুকছে।” |