উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ঘূর্ণাবর্ত স্বস্তি দিল উত্তরবঙ্গকে। বুধবার সকাল থেকেই আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল। যদিও সকালের পরে রোদের তাপ বেড়ে যায়। দুপুরে হঠাৎই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির আকাশ ঢেকে গিয়েছিল কালো মেঘে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে এক পশলা বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও কমে যায় দুই শহরের। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে আসা ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও একই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। |
বালুরঘাটের মাঠে চলছে চাষের কাজ। |
এদিন দুপুরে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানান গিয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে হয় ২৬ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। শিলিগুড়ির তাপ ৩ ডিগ্রি কমেছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার রাতেও দুই শহরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলেও দিনে সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ায় গত দু দিন দিনের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হয়নি। এ দিন, বুধবার দুপুরে কালো মেঘের কারণে হঠাৎই দিনের আলো কমে আসে। ভর দুপুরেই যেন সন্ধ্যা নেমে আসে। সেই সঙ্গে শুরু হয় এলেমেলো ঝোড়ো হাওয়া। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড থেকে কদমতলা সর্বত্রই ঝড় থেকে রক্ষা পেতে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় ব্যস্ত পথচারীদের। মিনিট দশেক ঝড় চলার পরে শুরু হয় বৃষ্টি। |
ময়নাগুড়ির আকাশ ঢেকেছে কালো মেঘে। |
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তরপ্রদেশ থেকে সিকিম এবং হিমালয় ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে। সে কারণেই বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণাবর্তটি শক্তিশালী হওয়ায় ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়, ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান না বদলানো পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলতে থাকবে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণাবর্তটি অসমের দিকে সরতে পারে বলে গোপীনাথবাবু জানান। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও বিহার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গে কিছু এলাকায় ঝড় বৃষ্টির পুর্বাভাস আছে বলে জানানো হয়। |