রায়গঞ্জ থানার শ্যামপুরহাটে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার শ্যামপুরহাট থেকেই তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম রেজ্জাক আলি ও আজাদ আলি। ধৃত রেজ্জাক হামলায় মূল অভিযুক্ত যুব তৃণমূল গৌরী অঞ্চল কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল হকের ভাই। আজাদ আলি রেজাউলের অনুগামী বলে পরিচিত। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক অঞ্জন সেনগুপ্ত জামিন নাকচ করে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন সরকারি আইনজীবী নিলাদ্রী সরকার বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মীদের সরকারি কাজে বাধা ও মারধর করার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও তৃণমূল নেতা রেজাউল ও তিন তৃণমূল সমর্থক-সহ ১২ জন এখনও ফেরার। রায়গঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর সমর সাহা ওই ১২ জন-সহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। |
এদিন সমরবাবুর নেতৃত্বেই পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে যান। সেইসময় সমরবাবু ধৃতদের চিহ্নিত করেন। জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “এফআইআরে নাম থাকা ১২ জন পালিয়েছেন।” পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্তরা বিহারে পালিয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশের উপর হামলা দল কখনও বরদাস্ত করবে না। অভিযুক্তদের পরিচয় যাই থাকুক না কেন, পুলিশকে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বালিকা উদ্ধারের জন্য রায়গঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর সমরবাবু ৩ এনভিএফ কর্মী নিয়ে শ্যামপুরহাটে রাজকুমার আলি’র বাড়িতে হানা দেন। পুলিশের কাছে খবর আসে, বালিকাকে অপহরণ করে ওই বাড়িতে আটকে রেখেছেন রাজকুমার। তার সঙ্গে বালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সমরবাবুরা ওই বাড়িতে যেতেই তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “তৃণমূলের হাতে পুলিশ আক্রান্ত। রাজনৈতিক রং বিচার না করে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল সমর্থককে পুলিশ ধরায় আমরা খুশি।” |