চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বহরান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করলেন মৃতার পরিজনেরা। ক্ষিপ্ত জনতা কর্তব্যরত এক নার্সের শ্লীলতাহানিও করে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
গুরুতর জখম শঙ্কর মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় মামদালিপুর গ্রামের নুরশিলা বিবি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু প্রসবের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মারা যান নুরশিলা (২৫)। মৃৃতার শাশুড়ি জামেরা বিবি বলেন, “সন্তান হওয়ার পর ভালই ছিল বৌমা। ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলেই হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হল ওর। এক জন চিকিৎসকও এগিয়ে এল না। মরেই গেল মেয়েটা।”
হরিহরপাড়া ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কৌশিক মণ্ডলও মেনে নিয়েছেন প্রসবের পর ওই মহিলার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। তাই তাঁকে ‘নিয়ম মাফিক’ ডেরিফাইলিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “চিকিৎসক আসার আগেই মারা যান ওই প্রসূতি।” মুর্শিদাবাদের ডেপুটি সিএমওএইচ-১ মণিকাঞ্চন সাহা অবশ্য দাবি করেছেন, “শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পরেই তাঁকে কিছু জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া হয়, যা থেকে কখনোই কারও মৃত্যু হতে পারে না।” স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই নুরশিলার স্বামী সাজিদুল শেখ জনা কুড়ি গ্রামবাসীকে নিয়ে হাসপাতালে চড়াও হন। তারপর শুরু হয় ভাঙচুর। শঙ্করবাবুকে টেনে হিঁচড়ে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। |