এক রোগিণীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঘমুণ্ডির পাথরডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বাঘমুণ্ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাসের এক ছাত্রীকে এমন ওষুধ দেওয়ায় স্কুলের তরফে স্থানীয় বিডিওর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্কুল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী নিবাসের তিন জন ছাত্রী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে পাথরডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখানোর জন্য যান। প্রধান শিক্ষিকা ইরা হাজরা বলেন, “দু’জনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলেও এক জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ দেওয়া হয়। ছাত্রী নিবাসের ওয়ার্ডেনের চোখে পড়ায় ওই ছাত্রীকে অবশ্য ওষুধটি খাওয়ানো হয়নি। আমরা ঘটনাটি বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।” ছাত্রী নিবাসের ওয়ার্ডেন চন্দ্রাণী বল বলেন, “ওরা ডাক্তার দেখিয়ে আসার পরে আমি ওষুধগুলো দেখি। কিশোরী মাহাতো নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, যেটির মেয়াদ গত ফেব্রুয়ারিতেই ফুরিয়ে গিয়েছে। জিজ্ঞেস করায় ওরা জানায়, ডাক্তারবাবু দেখে ওষুধ লিখে দেওয়ার পরে এক জনকে ডেকে ওষুধগুলো দিতে বলেছিলেন।”
স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক কাশীনাথ মাঝি বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু যদি ওই ওষুধ খেয়ে খারাপ কিছু হয়ে যেত, তা হলে কি দুঃখপ্রকাশ করে সেই ক্ষতিপূরণ করা যেত?” তাঁর প্রশ্ন, দু’মাস আগে যে ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, তা মজুত থাকে কীভাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এ দিন ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলি ফেরত চাওয়া হয়। যদিও ওই ওষুধ এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ফেরত দেওয়া হয়নি।
বাঘমুণ্ডির বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে আমি এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধটি আমার কাছে নিয়েও এসেছিলেন। আমি নিজেও দেখেছি ওষুধের ফয়েলে ‘নট ফর সেল’ লেখা রয়েছে। আমি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাইব।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াত বলেন, “এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব।” |