|
|
|
|
ছাঁটাই শ্রমিকদের অনশন জেলাশাসকের দফতরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এবিজি’র পর এ বার হলদিয়ার আরও একটি কারখানার ছাঁটাই শ্রমিকরা কাজ চেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। বুধবার জেলাশাসকের অফিসের সামনে হলদিয়ার রেনুকা সুগার কারখানার ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ২২ জন সপরিবারে (প্রায় ৬০ জন) এক দিনের প্রতীকী অনশনে বসেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনশন চলে।
২০০৮ সালে রেনুকা সুগার কারখানায় ঠিকাদারের অধীনে ৬১৩ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। লোকসান বাড়ছে অজুহাতে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন, শ্রম কমিশনারের সঙ্গে চুক্তি করে ৩২০ জনকে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও বাকিদের আর কাজে নেওয়া হয়নি। এই সব শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশকে এককালীন টাকা দিয়ে ছাঁটাই করা হলেও ২২ জন তা নেননি। এই ২২ জন শ্রমিক কাজ ফেরানোর দাবিতে বুধবার জেলাশাসকের অফিসের সামনে সপরিবারে অনশনে বসেছেন। |
|
বিক্ষোভে ছাঁটাই কর্মীদের পরিজনরা। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
অনশনে বসা দীনেশ প্রামাণিক, বাসুদেব পালদের অভিযোগ, ‘‘পরে যখন ৬১৩ জনের মধ্যে ৩২০ জনকে নিয়োগ করার কথা হল, তখন তাতে সায় দিয়ে দিল শ্রমিক সংগঠনগুলোও। আমরা গত ১৭ মাস ধরে বসে আছি। বেতন না পেয়ে ঋণের বোঝা বাড়ছে। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের কথা ভাবল না কেউ।” কারখানার জন্য জমি হারিয়েছেন দাবি করে ছাঁটাই শ্রমিক মানস ঘড়া বলেন, “মাসে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেতাম। তা-ও না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছি। কারখানায় ২৯৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হলেও পরে বেশ কিছু নতুন শ্রমিককে নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের মতো জমিহারা পরিজনদের কাজে নেওয়া হয়নি।”
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র রেনুকা সুগার কারখানার ইউনিট সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, “আমরা কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিপক্ষে। ছাঁটাই শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। নতুন করে যে সমস্ত শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা ঠিকাদারের অধীনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছেন।” এ দিন শ্রমিকরা তাঁদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে। |
|
|
|
|
|