|
|
|
|
আবাসিক প্রাথমিক স্কুল তৈরির প্রকল্প ফাইলবন্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতেই জেলায় আবাসিক প্রাথমিক স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতার অভাবে সেই পরিকল্পনা আপাতত ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। নতুন প্রাথমিক স্কুল তৈরির পরিকল্পনারও একই হাল।
রাজ্যে পালাবদলের পর আবাসিক স্কুলের বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছিল নতুন সরকার। তবে ওই পর্যন্তই। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলোর চেয়ারম্যানের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকেও আবাসিক স্কুলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন, “বেশ কয়েকটি আবাসিক প্রাথমিক স্কুল তৈরির প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য মধুসূদন গাঁতাইতের অবশ্য বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তৎপরতার অভাব নেই। তবে সব খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করতে একটু সময় লাগছে।”
জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। সর্বত্র ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত যথাযথ নয়। শহর ও শহরতলির স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা নামমাত্র। শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। |
পশ্চিম মেদিনীপুরে |
|
স্কুলছুট ছাত্রছাত্রী |
৭,৫১১ জন |
প্রথম-চতুর্থ শ্রেণি |
২,৫১১ জন |
পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি |
৫,০০০ জন |
সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন,—‘স্কুলছুট কমাতে ৫৮টি আবাসিক প্রাথমিক স্কুল তৈরির প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’ |
|
আর প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তুলনায় বেশি। আর শিক্ষক হাতেগোনা! সব স্কুলে শৌচাগার, পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাও নেই। জেলায় প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ৪ হাজার ৬৩২টি। এর মধ্যে ৯৩টি স্কুলে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। সাধারণত, এক কিলোমিটার অন্তর একটি করে প্রাথমিক স্কুল থাকার কথা। তা-ও নেই। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই ১১৮টি নতুন প্রাথমিক স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে ৫৮টি আবাসিক। কিন্তু, সেই পরিকল্পনা আপাতত ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে।
স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি করে। সাহায্য করে সর্বশিক্ষা মিশনও। তবে স্কুলছুটের হার সে ভাবে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অভিভাবকদের সচেতনতা বেড়েছে। সর্বশিক্ষা মিশন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “আমরাও নানা ভাবে স্কুলছুটদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। চাইল্ড রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। এর ফলে কোন এলাকায় কত শিশু রয়েছে, তাদের মধ্যে কতজন স্কুলে যায়, যায় না, সেই তথ্য উঠে আসবে।” |
|
|
|
|
|