|
|
|
|
কর্মীদের ‘মারছে’ তৃণমূল, সবংয়ে প্রতিবাদ মানসদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সবং |
তৃণমূলের হাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা মার হচ্ছেন আর পুলিশ চুপ করে বসে রয়েছে এই অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করল কংগ্রেস। বুধবার সকালে সবং থানার সামনে এই বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা কৃষ্ণা দেবনাথ, অজয় ঘোষ প্রমুখ।
ক’দিন আগেই সবংয়ের ভেমুয়া বাজারে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর ও আইএনটিইউসি কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলে। তার প্রতিবাদেই এই অবস্থান। বিক্ষোভ-মঞ্চ থেকে মোবাইলের স্পিকার চালু করে যোগাযোগ করা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। প্রদীপবাবু বলেন, “সবংয়ের মাটি খুব শক্ত। একটা পার্টি অফিস ভেঙে কী করবেন? আরও একশো নতুন পার্টি অফিস তৈরি হবে।” দলীয় কর্মীদের উপরে হামলার প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল রাজ্য জুড়ে আইন-অমান্য কর্মসূচি হবে বলেও ঘোষণা করেন প্রদীপবাবু।
আর মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, “রুইনান, দশগ্রাম, ভেমুয়া— সর্বত্র কংগ্রেস কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।” |
|
জখম কংগ্রেস কর্মীকে নিয়ে সবংয়ের অবস্থান মঞ্চে মানস ভুঁইয়া। বুধবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
কংগ্রেসের অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের মারধরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের ধরা হচ্ছে না। সবংয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ভেমুয়ায় গোলমালের ঘটনায় ৭ তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও সমস্যা নেই।” এ দিন সন্ধ্যায় এসডিপিও (খড়্গপুর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সবংয়ে গিয়ে মারধরে জড়িত সবাইকে ধরার আশ্বাস দিলে অবস্থান তুলে নেয় কংগ্রেস।
উন্নয়ন-প্রশ্নেও এ দিন তৃণমূলকে দুষেছেন কংগ্রেস নেতারা। মানসবাবুর অভিযোগ, “ওরা রাস্তার কাজ আটকে দিচ্ছে। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারের কাজ বারবার বাধা পাচ্ছে। আমরা উন্নয়ন করতে চাইছি। তাতে বাধা দিতেই সিপিএম-সিপিআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অমূল্য মাইতি বলেন, “সবংয়ে কংগ্রেস-সিপিএমের আঁতাঁত রয়েছে। মানস ভুঁইয়াই তার হোতা।” আর সবংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ সামন্তের বক্তব্য, “তৃণমূল তো আমাদের পার্টি অফিসও ভাঙছে। তা হলে ওদের সঙ্গে আমাদের আঁতাত হয় কী করে?” |
|
|
|
|
|