খেতাব জিততে ওডাফাদের সাহায্য চাই-ই ইস্টবেঙ্গলের |
ডেম্পো ২ (সুয়েকা, ক্লাইম্যাক্স)
চার্চিল ব্রাদার্স ২ (সুনীল ২) |
করিম বেঞ্চারিফার টিমের উপরই নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ খেতাব।
গোয়ার ডার্বি ড্র হয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল সুবিধা পেল এই তত্ত্ব অবশ্য মানতে নারাজ চার্চিল ব্রাদার্স। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা চার্চিল কোচ সুভাষ ভৌমিক হতাশও নন। ম্যাচের পর ভাস্কোতে ফোনে ধরা হলে হাসতে হাসতে তিনি বলে দিলেন, “এটাই তো লিগের মজা। আমি একেবারেই চিন্তিত নই। বাকি তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট পেলেই তো আমরা চ্যাম্পিয়ন।” মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বাকি তিনটি ম্যাচের প্রথমটি খেলতে শুক্রবারই দল নিয়ে কল্যাণীতে পৌঁছোচ্ছে চার্চিল।
|
সুনীল ছেত্রী:
জোড়া গোল। |
আই পি এল নয়, বৃহস্পতিবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে গোয়া ডার্বির ফল জানার জন্য টিভির সামনে ভিড় করে বসে ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। ময়দানে ক্লাব তাঁবুতেও ছিল ভিড়। কিন্তু দু’বার পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল ম্যাচটি ড্র করে লোয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হতাশ হলেও ক্ষিণ আশা ছাড়ছেন না। তাঁদের আশা জোগাচ্ছে ওডাফা-টোলগে-নবি-শিল্টনদের মোহনবাগান। কারণ চার্চিলের যে তিনটি ম্যাচ বাকি তার মধ্যে দু’টোই মোহনবাগানের সঙ্গে। মোহনবাগান যদি চার্চিলকে দুটি ম্যাচেই হারিয়ে দেয় এবং ইস্টবেঙ্গল যদি বাকি তিনটি ম্যাচ জেতে তা হলেই একমাত্র মর্গ্যানের দলের হাতে উঠতে পারে আই লিগ। যা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই অনেক যদি-কিন্তু নিয়ে টানটান উত্তেজনায় চার্চিল, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের বাকি ম্যাচে চোখ থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।ট্রেভর মর্গ্যান অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরি টিভিতে ম্যাচ দেখার পর বলছিলেন, “মন্দের ভাল হল। ডেম্পো জিতলে ভাল হত। একমাত্র মোহনবাগানই আমাদের এখন চ্যাম্পিয়নের রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে। তবে আমাদেরও তিনটি ম্যাচ জিততে হবে।” মহেশ গাউলি-সহ ডেম্পোর চার স্টপারই চোটের জন্য বৃহস্পতিবার ডেম্পো দলে ছিলেন না। তবে সুস্থ হয়ে নেমেছিলেন সুয়েকা। খেলা শুরুর পরই গতবারের চ্যাম্পিয়ন ডেম্পোকে এগিয়ে দেন জাপানি এই ফুটবলার। ১-০ থেকে ১-১ করেন চাির্চের সুনীল ছেত্রী। বিরতির মুখে আবার ২-১ করে দেন ক্লাইম্যাক্স লরেন্স। কিন্তু ক্লিফোর্ড-সমীর নায়েকদের মুখের গ্রাস ফের কেড়ে নেন সুনীল ছেত্রীই। ফের ফ্রি কিকে অসাধারণ একটি গোল করে। পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবন ক্লাব থেকে সুনীল লিয়েনে এসেছেন চার্চিলে। সেখানে ঠিক মতো সুযোগ পাচ্ছেন না বলে চলে এসেছেন। তা নিয়ে নানা কটাক্ষও চলছে। সুনীল কিন্তু দেখালেন বিদেশে দীর্ঘ দিন থাকার সুফল কী? দু’টো আসাধারণ ফ্রি কিকে তিনি দু’বার খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে আনলেন সুভাষ ভৌমিকের দলকে। ঘুরিয়ে বলা যায়, সুনীলই কার্যত ইস্টবেঙ্গলকে হাসতে দিলেন না এ দিন। তবে খেলার শেষ দিকে চার্চিলের হেনরির একটি হেড গোললাইন থেকে বাঁচান ডেম্পোর রাইট ব্যাক সমীর নায়েক। এডে চিডি ম্যাচের পর বলছিলেন, “দু’বার চার্চিল পিছিয়ে পড়ার পর মনে মনে বেশ আনন্দ হচ্ছিল। থ্যাঙ্ক গড যে ম্যাচটা ড্র হয়েছে। আমাদের এখনও একটা আশা তা হলে আছে।” আর মেহতাব হোসেনের মন্তব্য, “ওরা কী করল না দেখে বাকি তিনটি ম্যাচ আমাদের জেতার চেষ্টা করতে হবে।”
লিগ টেবিলের যা পরিস্থিতি তাতে ২৩ ম্যাচে চার্চিল ব্রাদার্সের পয়েন্ট ৪৮। সমসংখ্যক ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ৪৩। ইস্টবেঙ্গলের এখনও ম্যাচ বাকি শিলং লাজং, ডেম্পো এবং সিকিম ইউনাইটেডের সঙ্গে। পরিস্থিতি যা তাতে ইস্টবেঙ্গল যদি তিনটি ম্যাচ জেতে তা হলে চার্চিলকে বাকি তিনটি ম্যাচ থেকে কমপক্ষে চার পয়েন্ট পেতেই হবে। অর্থাৎ একটি জয়, একটি ড্র হলেই চলবে। সে ক্ষেত্রে গোলপার্থক্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে গোয়ার পারিবারিক ক্লাবটি। ফলে গোয়ার ডার্বি ড্র হওয়ার পর এখনও অ্যাডভান্টেজ চার্চিল-ই। |