বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিও কিছু কম যান না। ক্রিস গেইলকেও টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। মঙ্গলবার সুপার ওভারে তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবেই টিম জিতেছে। তবু আফসোস যাচ্ছে না এবি ডে’ভিলিয়ার্সের। রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ম্যাচও হাতের মুঠোয় ছিল। এবি রান আউট হতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার। ১৭ বলে পড়ে পাঁচ উইকেট। সুপারওভারে অবশ্য আবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে আর কোনও ভুল করেননি এবি। দু’টো বিশাল ছক্কা মেরে দিল্লির নাগালের বাইরে নিয়ে যান ম্যাচ। তবু ম্যাচের পর আফসোস শোনা যায় এবির মুখে। তিনি বলে দেন, “ও ভাবে রান আউট হওয়ার দায়টা আমারই ঘাড়ে নেওয়া উচিত। আমি ডাগ আউটে ফিরতেই টিমের ব্যাটিং ভেঙে পড়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক তো বটেই। তবে আমাদের যা ব্যাটিং শক্তি তাতে ২০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচটা শেষ করা উচিত ছিল। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবই আমরা।”
|
মোহালি ম্যাচে টিম ভূপতিত হওয়ার পরই কেকেআরের ওয়েন মর্গ্যানের টুইট (একটা ভাঙাচোরা হেলিকপ্টারের ছবি সহ) “ধন্যবাদ ডেভিড হাসিকে তাঁর হেলিকপ্টারটা আমাদের ধার দেওয়ার জন্য। অন্যকে সাহায্য করেছে বটে তবে ভাড়াটা বড্ড বেশি। চপারের রংটা নিয়েও একটু ধোঁয়াশা রয়েছে।” কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অলরাউন্ডারও কম যান না, তাঁর পাল্টা টুইট, “হেলিকপ্টারটা ফেরত দেওয়ার সময় তেল ভরে দিতে ভুলে যেও না। তুমি তো সেন্ট জোনস উডের (ইংল্যান্ডের অন্যতম বিত্তশালী অঞ্চল) অর্ধেকের মালিক?” একই ডাগআউটে বসার সুযোগ না হলেও মোহালি ম্যাচের পর প্রাক্তন নাইটের সঙ্গে হয়তো মস্করা করার লোভ সামলাতে পারেননি মর্গ্যান। তবে, ২০০৮ থেকে ২০১০ তিন মরসুম কেকেআরকে অনেক ম্যাচে খাদ থেকে টেনে তুলেছেন হাসি। প্রাক্তন নাইটের কাজটা ধার করার নাম করে কাঁধে তুলে নিতে টুইট করেননি তো কেকেআরের আইরিশ ক্রিকেটার?
|
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট এখন ৮। ছয় ম্যাচের চারটেতেই জিতে। মঙ্গলবারের নাটকীয় জয়ের পর
শিবিরে খুশির মেজাজ। বুধবার আবার ছিল মুরলীর জন্মদিন। বিরাটরা কেক কাটলেন।
এবং নাচ-গানও হল...ছবি আরসিবির-র ফেসবুক থেকে। |